Logo
Logo
×

জাতীয়

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫২ পিএম

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত

বাংলাদেশে যখন রাজনৈতিক পালাবদল চলছে, ঠিক সেই সময় ভারত তার পূর্ব সীমান্তে নতুন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের কাজের গতি বাড়িয়েছে। আর দেশটির এই পদক্ষেপকে তাদের সতর্ক আঞ্চলিক অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখছেন ঢাকার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় একটি নতুন সামরিক ঘাঁটি চালু করেছে। একই সঙ্গে আসামের ধুবড়িতে আরেকটি মিলিটারি স্টেশন স্থাপনের কাজও শুরু করেছে।

এমন এক সময়ে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এসব সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করছে যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ সংবেদনশীল অবস্থায় রয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি বৃহস্পতিবার চোপড়া ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনি ব্রহ্মাস্ত্র কোরের সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

সেখানে বলা হয়, ‘তিনি (আর সি তিওয়ারি) খুব কম সময়ের মধ্যে ঘাঁটিটি স্থাপনে সৈন্যদের অদম্য উৎসাহ এবং পেশাদারত্বের প্রশংসা করেন। সেইসঙ্গে তাদের পরিচালনগত প্রস্তুতির সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে আহ্বান জানান।’

এছাড়া সফরে ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিধায়ক এবং অন্য বেসামরিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও দেখা করেন। যা সংবেদনশীল সীমান্ত অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য সামরিক-বেসামরিক সহযোগিতার গুরুত্বকেই তুলে ধরে।

সফরে কিংবদন্তি আহোম সেনাপতি লাচিত বরফুকনের নামে ধুবরির বামুনিগাঁওয়ে একটি মিলিটারি স্টেশন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন ইস্টার্ন আর্মির এই কমান্ডার।

ইস্টার্ন কমান্ড বলেছে, নতুন এই স্টেশনটি হবে সাহস, নেতৃত্ব এবং সহনশীলতার প্রতীক। যা ভারতের পূর্ব প্রান্তে পরিচালনগত ক্ষমতা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করবে।

ঢাকার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত সংলগ্ন উত্তর দিনাজপুর এবং ধুবড়ির কাছে এই দ্রুত সামরিক স্থাপনা নির্মাণ ও সেনা মোতায়েনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যা এই অঞ্চলে ক্রমে বেড়ে চলা রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা অনিশ্চয়তার মধ্যে ভারতের প্রস্তুতি বাড়ানোর ইচ্ছাকেই প্রতিফলিত করছে।

যদিও নয়াদিল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্প্রসারণকে রুটিন প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণের অংশ বলে উল্লেখ করেছে। তবে বিশ্লেষকরা এটিকে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার সঙ্গে যুক্ত ভারতের বৃহত্তর কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার