বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি সফটওয়্যার তৈরি নিয়ে টেলিটকের সঙ্গে সভা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর শিক্ষকদের বদলি চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম। কেননা সফটওয়্যার তৈরি করা, সেটি যাচাই এবং ট্রায়ালের কাজ সম্পন্ন করতে ডিসেম্বর মাস লেগে যেতে পারে।
এ অবস্থায় আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি চালু হতে পারে জানিয়েছে সূত্রটি।
তবে সফটওয়্যার তৈরিসহ অন্যান্য কার্যক্রম নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা গেলে ডিসেম্বর মাসেও বদলি চালু হতে পারে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির কোনো সুযোগ নেই। এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন তারা। তবে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার।
এ অবস্থায় বিপাকে পড়েন নিজ বাড়ি থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে চাকরি করা শিক্ষকরা।
ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ বন্ধ হওয়ার পর বদলি চালুর দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন। দীর্ঘ আন্দোলনের পর সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বদলি চালুর উদ্যোগ নেন।
প্রাথমিকভাবে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নানা শর্তে বদলি চালুর জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করে সরকার।
এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারির পর মাউশির এক পরিচালকের মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। তবে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় নতুন করে সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ অবস্থায় দ্রুত বদলি কার্যকর করার দাবিতে আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেয় এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংগঠন।