নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট-১১ এর সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যাটর্নি সোমা সায়ীদ। তার প্রাপ্ত ভোট ২৫৫,১২৩, যা মোট প্রাপ্ত ভোটের ৯৬.০৪ শতাংশের ফল। এর আগে তিনি কুইন্স ডিস্ট্রিক্টের সিভিল কোর্টের বিচারক পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি নতুন ইতিহাস গড়লেন। কারণ কুইন্সে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, প্রথম মহিলা সাউথ এশিয়ান এবং প্রথম মুসলিম নারী, যিনি বিচারক নির্বাচিত হলেন।
জয়ী হয়ে তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তার এই জয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষ ভীষণ আনন্দিত। সবাই তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
বিজয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সোমা সায়ীদ বলেন, এই জয় আমার একার নয়, এই জয় পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটির। জয়ের পেছনে অবদান রাখায় তিনি ভোটার, তার সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এই জয়ে তার স্বামী মিজানুর রহমান চৌধুরী বিরাট অবদান রাখেন। এ জন্য সোমা তার স্বামীকেও ধন্যবাদ জানান। কেবল বাংলাদেশি কমিউনিটি নয়, অন্যান্য কমিউনিটির ভোটাররাও তাকে ভোট দিয়েছেন। তাই তিনি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
সোমা সায়ীদ ছোটবেলায় বাংলাদেশ থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তিনি একজন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী। তিনি কুইন্স কাউন্টির জজ নির্বাচিত হওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ প্রসিকিউটর এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিশিনার ভাস্ট কমিউনিটি ও প্রোবনো বিশেষজ্ঞ। তিনি আলবেনি ল’ স্কুল থেকে আইন বিষয়ে জুরিস ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগে তিনি নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির সিটি কলেজ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলে ছোটবেলার শিক্ষাজীবন কাটিয়েছেন। হাইস্কুলও ছিল সিটির পাবলিক স্কুল।
একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি সোমা সায়ীদ কমিউনিটির বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। অর্জন করেছেন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা। লড়াই করেছেন নিউইয়র্কবাসীর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য। এর আগে তিনি অংশ নেন নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলওমেন পদে। তিনি একাধিক লিডারশিপ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি নিউইয়র্ক এশিয়ান আমেরিকান জজ অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রথম সাউথ এশিয়ান ও মুসলিম প্রেসিডেন্ট হিসেবে কুইন্স কাউন্টি ওমেন্স বারের দায়িত্ব পালন করেছেন।