জামায়াত নেতাকে নিয়ে মন্তব্য: জাবি শিক্ষক নাহরিনের বিরুদ্ধে মামলা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৯ এএম
জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে নিয়ে টেলিভিশন টক শোতে মন্তব্যের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক ড. নাহরিন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ সদর আমলি আদালতে করা মামলার বাদী জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।
বাদীর পক্ষ থেকে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় জাবির ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক নাহরিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের আইনজীবী আবু তালেব আকন্দ।
এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা কোনো ধরনের ভাঙচুর বা আর্থিক ক্ষতিসাধন করেননি। ফলে সাধারণ জনগণসহ আওয়ামী লীগের অনেক সমর্থক তাঁদের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। এমন অবস্থায় একটি মহল অসৎ উদ্দেশ্যে তাঁকে ও জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচনে পরাজিত করার লক্ষ্যে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করেছে।
বাদী আরও বলেন, ঘটনার তারিখে ও সময়ে গাজী টিভির ‘রেইনবো নেশন বনাম ধর্মীয় কার্ড, টাইমলাইন বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে সঞ্চালক কাজী জেসিনের পরিচালনায় ড. নাহরিন ইসলাম খান বলেন, ‘জামায়াতের সিরাজগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি বলেছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেছেন, তাঁদের স্ত্রীদের প্রতি জামায়াতের হক।’ ড. নাহরিন ইসলাম খানের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ ও জামায়াতে ইসলামীর নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী দাবি করে এজাহারে জাহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি কখনো এমন বক্তব্য দেননি।
এ মিথ্যা মন্তব্যের মাধ্যমে আসামি তাঁর ও তাঁর দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন এবং দেশ-বিদেশে জামায়াতপন্থী মানুষকে মর্মাহত করেছেন। এ ঘটনায় দলীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে মামলা করতে দেরি হয়েছে।
জাহিদুল ইসলাম এজাহারে আরও বলেন, ‘আমার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা যে মন্তব্য করেছেন, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ। আমি কখনো এমন কথা বলিনি। এতে আমার ব্যক্তিগত মর্যাদা ও জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ জন্য আমি মামলাটি করেছি।’
সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের আইনজীবী আবু তালেব আকন্দ বলেন, ‘আমরা আদালতে ভিডিও ক্লিপসহ সব প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। আদালত প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে মামলাটির পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য বিবেচনায় নিয়েছেন।’