গণভোটের হাজার কোটি টাকা কি ইসলামী ব্যাংক দেবে?
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা গণভোটে রাজি হয়েছি। কিন্তু সেটা আমরা বলেছিলাম যে, একইদিনে করেন। কারণ হাজার হাজার কোটি টাকা একটা গণভোট করতে গিয়ে খরচ হবে। এই টাকাটা কোত্থেকে আসবে? এটা কি ইসলামী ব্যাংক থেকে আসবে? নাকি এটা জামায়াত দেবে?
তিনি বলেন, এটা তো জনগণের পকেটের টাকা যাবে। সেই চিন্তা কিন্তু তারা করছে না। অর্থনীতির ১২টা বাজুক, মানুষ না খেয়ে মারা যাক তাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু তাদের দাবিটাই মানতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, সাবেক মন্ত্রী এবং অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি সাদেক হোসেন খোকার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, দীর্ঘদিন একটা রাজনৈতিক দল আমাদের কাঁধের ওপর ভর করে ছিল। ৫ আগস্টের পরে হঠাৎ করে তাদের চেহারা পাল্টে গেলো। তাদের যখন দুঃসময় ছিল তাদেরকে কিন্তু বিএনপি ছেড়ে যায়নি। তাদেরকে আমরা কাঁধে করে রেখেছিলাম। যখন তাদের কোনো প্রতীক ছিল না, দলের নিবন্ধন ছিল না, বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তখন কিন্তু এই বিএনপি ধানের শীষ দিয়ে তাদেরকে নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছিল। আর আজকে মনে হচ্ছে যে, তারাই বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। কিন্তু জনগণের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে এখনও তারা আসতে পারেনি।
জামায়াত দেশে আরেকটু অস্থিরতা আনার জন্য চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭২ থেকে ৭৫ এ আওয়ামী লীগের সেই দুঃশাসনের কারণে আওয়ামী লীগকে কিন্তু এই দেশের মানুষ আর কখনও গ্রহণ করতে চায়নি। কিন্তু আমরা দেখেছি, সেই সময় তারা ৮৬-তে কীভাবে আওয়ামী লীগকে জায়গা করে দিয়েছে তাদের সঙ্গে মিলে। আমরা দেখেছি, পরবর্তী পর্যায়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কীভাবে পরাজিত ফ্যাসিবাদকে তারা ক্ষমতায় আনার রাস্তা করে দিয়েছিল। আজকেও প্রশ্ন করতে চাই তাদের কাছে, আজকে যখন পরাজিত ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ জাতি ঐক্যবদ্ধ সব তাহলে কেন আপনারা আজকে বিএনপির বিরোধিতা না, বলা চলে বাংলাদেশের বিরোধিতা করছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ যাতে স্থিতিশীল হতে না পারে সেটার জন্য আজকে আপনারা বিরোধিতা করছেন। কারণ জনগণের মধ্যে এখনও শঙ্কা, নির্বাচন কি হবে? কেন এই শঙ্কা? আপনাদের আন্দোলনের হুমকির কারণে। আপনাদের ধমকির কারণে। আরে ভাই দীর্ঘ নয় মাস সংস্কার কমিশন আলাপ আলোচনা করে একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজকে সেই পর্যায় থেকে আবার কেন পিছিয়ে যাচ্ছেন?
আলোচনা সভাটি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনসহ আরও অনেকে।