Logo
Logo
×

জাতীয়

সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্টের বিরুদ্ধে মোনামির পাশে জুমা

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম

সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্টের বিরুদ্ধে মোনামির পাশে জুমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষিকা ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামির পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা। 

তিনি বলেছেন, মেয়েদের শেহরীন আমিন ভুইয়া মোনামি ম্যামের মতো সাহসী হওয়া উচিত। সাইবার বুলিং, সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্টের বিরুদ্ধে এমন বোল্ড স্টেপ নেওয়া উচিত।

মূলত, শিক্ষিকা মোনামির একটি সম্পাদন করা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করে অ্যাক্টিভিস্ট মুজতবা খন্দকার, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন এবং আশফাক হোসাইন ইভান।

এমনটাই অভিযোগ করেছেন শিক্ষিকা শেহরীন আমিন ভুইয়া মোনামি। তাদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইনে শাহবাগ থানায় মামলাও করেছেন।

রোববার (৩ অক্টোবর) সকালে মামলাটি করার সময় ডাকসুর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ডাকসুর আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া।

মো. জাকারিয়া সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মোনামি ম্যাম তার ছবি এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন। আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে আমি সার্বিক সহায়তা করেছি। উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা।

তিনি আরও লিখেছেন, অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবির সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। যারা পোস্ট করেছেন, অশালীন মন্তব্য করেছেন, পোস্ট শেয়ার করেছেন এবং পরবর্তীতেও যারা এভাবে ছবি বিকৃত করে প্রচার করবে সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ।

অবশেষে মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি, আসামি যারা

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মুনসুরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষিকা মোনামির এডিট করা আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে দিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করায় এই মামলায় ১ নম্বর আসামি সাংবাদিক ও এক্টিভিস্ট মুজতবা খন্দকার, ২ নম্বর আসামি লেখক ও এক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ৩ নম্বর আসামি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন এবং ৪ নম্বর আসামি আশফাক হোসাইন ইভান।

এজাহারে আসামিদের ফেসবুক আইডি ও পোস্টের স্ক্রিনশট সংযুক্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে ক্রমাগত তার ছবি এডিট করে অশালীনভাবে পোস্ট করে তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করছে বলেও অভিযোগ করেছেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি।

শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামি বলেছেন, ক্রমাগতভাবে আমার ছবি এডিট করে অশালীনভাবে পোস্ট করা এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করার ফলে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এ বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হলো। আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার