গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তৎক্ষণাৎ প্রাণ হারান পথচারী আবুল কালাম। এরপর মৃত সেই ব্যক্তির পরিবারকে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন। সে বিষয়টিও আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দেয়।

তবে এবার সেই ৫ লাখ টাকা দেওয়া নিয়ে কথা বলেছেন মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘এটি জীবনের মূল্য নয়, তাৎক্ষণিক সাহায্য হিসেবে দেওয়া হয়েছে।’ আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

ফারুক বলেন, ‘ইনসিডেন্টের পরে আমরা নিজেরা ইনভলভ হয়েছি ওই ভিক্টিমের সঙ্গে। যতটুকু করার, তার হাসপাতাল নেওয়া থেকে শুরু করে জানাজা পর্যন্ত যত কিছু আছে, আমাদের ডিএমটিসিএল এবং মিনিস্ট্রি থেকে উভয়ে মিলে সব কিছু অ্যারেঞ্জ করেছি। আর কিছু সাহায্য হিসেবে উপদেষ্টা স্যার মিনিস্ট্রি থেকে দিয়েছেন।’ 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই টাকা নিয়ে সমালোচনার বিষয়টিও চোখ এড়ায়নি তার। সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে এটাকে জীবনের মূল্য বলছেন, আসলে এটা জীবনের মূল্য হিসেবে দেওয়া হয়নি। ওটা তাকে ইমিডিয়েট সাহায্য হিসেবে দেওয়া হয়েছে।’

নিহত আবুল কালামের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আর আমরা লং যে সলিউশনটা খুঁজেছি, ওনার ফ্যামিলিকে কীভাবে পারমানেন্টলি সাহায্য করা যায়, সেজন্য ওনার ওয়াইফের সঙ্গে গত সপ্তাহে আমার মিটিং হয়েছে। ওনার যোগ্যতা অনুযায়ী ইমিডিয়েট একটা চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি যখন তার সার্টিফিকেট এবং ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড, সবকিছু দিয়ে দেবেন, এটা দেওয়ার পরে আমরা তার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করছি।’

বর্তমানে অনার্সে পড়ছেন কালামের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া। অনার্স শেষ হলে যোগ্যতা অনুসারে পদোন্নতিও দেওয়া হবে তাকে, জানান ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বলেন, ‘ওনার হয়ত আরও ছয় মাস লাগবে অনার্স কমপ্লিট করতে। অনার্স কমপ্লিট করলে, ওই যোগ্যতা অনুযায়ী যতটুকু চাকরিতে তাকে পদোন্নতি দেওয়া যায় বা করা যায়, ওই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, প্রভিশন রাখা হয়েছে।’