সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪০ এএম
দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী সকল সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।
রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে ওই দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ মাদানী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল কারীম আবরার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি ও সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট রুহুল আমীন সাদী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব, সাংবিধানিক পরিচিতি, সামাজিক রীতি-নীতি ও জনগণের চেতনার ভিত্তি হলো ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ। এই মূল্যবোধকে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে সরিয়ে ফেলা হলে তা প্রজন্মকে নৈতিকভাবে দুর্বল ও আত্মপরিচয়হীন করে তুলবে।
মওলানা এটিএম মাসুম বলেন, গান-বাজনা ইসলাম সম্মত নয়। শতভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর সন্তানদের নাচ-গানের শিক্ষা দিয়ে নৈতিক মূল্যবোধ ধ্বংস করা যাবে না। যদি এই জাতি বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয়, আমরা গণমানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। এ সিদ্ধান্ত ইসলামি চেতনা ও জুলাই সনদের শহীদদের ত্যাগের পরিপন্থী। কারণ জুলাইয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সন্তানরাই জীবন দিয়েছে।
অধ্যক্ষ ইউনূস আহমেদ মাদানী বলেন, সমাজে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ঘুষ-অনিয়ম-এসবের অন্যতম কারণ হলো ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। তাই গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, এই দেশের মানুষ ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী। তাই অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। আবু সাঈদ, মুগ্ধদের নতুন বাংলাদেশে ধর্মবিদ্বেষ চলবে না।
মুফতি রেজাউল কারীম আবরার বলেন, অবিলম্বে গানের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল করে সারাদেশে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী সকল সিদ্ধান্ত বাতিল এবং ট্রান্সজেন্ডারসহ সমাজ ও পরিবার বিধ্বংসী সকল মতবাদ অনুপ্রবেশের পথ বন্ধ করতে হবে।