এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একীভূত হতে পারে! বেতন কিভাবে হবে?
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে নন-পারফর্মিং প্রতিষ্ঠানগুলো একীভূত করা যায় কি না, সে বিষয়ে সরকারে আলোচনা চলছে। এ ছাড়া যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফল খারাপ, সেগুলো নিয়ে অনুসন্ধান করা হবে। জবাবদিহির আওতায় আনা হবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর যেসব শিক্ষক ক্লাস বাদ দিয়ে অন্য কাজে নিয়োজিত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনা গেলে ফলাফল উন্নত করা সম্ভব—আমরা তার যথার্থ উদাহরণ পেয়েছি। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, অনেক প্রতিষ্ঠান যথাযথ যাচাই ছাড়াই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। সেই প্রেক্ষিতে নন-পারফর্মিং প্রতিষ্ঠানগুলো মার্জ করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।’
যেসব প্রতিষ্ঠানে এক বা দেড় শ শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র ১০-১২ জন, অথচ ১৫-২০ জন শিক্ষককে বেতন দিতে হয়—সরকার এমন অপচয় রোধের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে খারাপ ফলাফল হয়েছে, অর্থাৎ শূন্য বা ১০ শতাংশের নিচে পাসের হার, সেসব প্রতিষ্ঠানের ফলাফলের কারণ অনুসন্ধান করা হবে। একই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান পূর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে এবং পাসের হার ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার স্থিতিশীল রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরও ডাকা হবে।’