শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনাল ত্যাগ করেন সেই ১৫ সেনা কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলার আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে কারা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জেল-প্রিজনভ্যান লেখা সবুজ রঙের গাড়িতে তাদের কারা হেফাজতে নেওয়া হয়। জানা গেছে, এটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
বিগত সরকারের শাসনামলে গুম-খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় মোট ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল বুধবার (২২ অক্টোবর)। সে উপলক্ষে ভোর ৪টা থেকেই ট্রাইব্যুনালসহ আদালত প্রাঙ্গণের আশপাশে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।
সকাল ৭টায় ট্রাইব্যুনাল গেটে প্রবেশ করে বাংলাদেশ জেল-প্রিজনভ্যান লেখা সবুজ রঙের গাড়ি। এই গাড়িতেই ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ১৫ সেনা কর্মকর্তা। প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে একে একে সবাইকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের এজলাসে তোলা হয় সকাল সোয়া ৮টায়।
অবশ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলের এজলাসে আসামিদের বেশিক্ষণ বসে থাকতে হয়নি। প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যেই (সকাল পৌনে ৯টায়) সম্পন্ন হয় আদালতের কার্যক্রম।
কারাগারে পাঠানো ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৪ জন বর্তমানে কর্মরত। একজন এলপিআরে রয়েছেন। তারা হলেন— র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এবং কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এলপিআর)।
র্যাবের্যা গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।
এছাড়া রয়েছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী।