নতুন পে স্কেল : প্রতিবেদন দাখিল নিয়ে বেতন কমিশনের বিবৃতি

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ন্যায়সংগত ও কার্যকর নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নে গঠিত বেতন কমিশনের কাজ ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলছে। কমিশন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে অনলাইনে পাওয়া চারটি প্রশ্নমালার মাধ্যমে সংগৃহীত মতামত ও সুপারিশ যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণের কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সরকারি তথ্য বিবরণীতে এই তথ্য জানানো হয়।
বেতন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন ও সংগঠন ইতোমধ্যে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের প্রস্তাব ও মতামত জমা দিয়েছে। এসব প্রস্তাব বর্তমানে কমিশন পর্যালোচনা করছে। কমিশনের আশাবাদ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়, এর আগে ১ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন—এই চারটি শ্রেণির কাছ থেকে অনলাইনে মতামত গ্রহণ করা হয়।
সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন। প্রস্তাবে ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে কমিশন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) এই খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে জাতীয় বেতন কমিশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন বেতন স্কেল আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কার্যকর হতে পারে।
সূত্রে আরও জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই কার্যকর হতে পারে নতুন বেতন স্কেল। সে হিসেবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই নতুন বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা পেতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
এদিকে জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন হলে কিছু সুবিধা বাতিল হবে। প্রস্তাবে ‘সাকুল্য বেতন’ কিংবা ‘পারিশ্রমিক’ নামে বিকল্প বেতন কাঠামো গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেখানে বিদ্যমান বেতন কাঠামোর ভাতাসহ আর্থিক ও অনার্থিক কোনো সুবিধাই থাকবে না। প্রস্তাবিত এই বেতন কাঠামো অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে চালু আছে। এদিকে বিভিন্ন কমিটির সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীরা যে সম্মানী কিংবা ভাতা নিচ্ছেন, তা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ পদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য পৃথকভাবে এই সম্মানী নিচ্ছেন। এতে বছরে ব্যয় হচ্ছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। এ সুবিধাও বাতিলের জন্য কমিশনের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি জানান, পে-কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে যে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হবে, তা সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে। ডিসেম্বরে চলতি বাজেট সংশোধনের কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, পে-কমিশনের গেজেট প্রকাশের ওপর এ বাস্তবায়ন নির্ভর করবে। তবে আগামী বছরের শুরুতে এটি কার্যকর হতে পারে।