Logo
Logo
×

জাতীয়

ইডিসিএলের এমডির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ, ট্রাইব্যুনালে মামলা

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম

ইডিসিএলের এমডির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ, ট্রাইব্যুনালে মামলা

সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ দায়ের করা মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বস্ত করে সামাদ মৃধা বলেন, আমাদের বিয়ের সব কিছু প্রায় রেডি এবং এ জন্যই বাসা ভাড়া নিয়েছি। গত ২১ ফেব্রুয়ারি পরিবাগের ওই ভাড়া বাসায় নিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তখন সামাদ মৃধার কথাবার্তা এমন ছিল যে, বিয়ে তো আমাদের হয়েই গেছে। শুধু কাগজের সিগনেচার বাকি-তা আমরা করে নিবো। এরকম সুন্দর কথাবার্তার মাধ্যমে একাধিকবার শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য করেন ভুক্তভোগীকে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি অমান্য করেন।

মামলাটি গত ১৬ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮, ঢাকায় দায়ের করা হয়। মামলার নং ১০২/২০২৫। অভিযোগে উল্লিখিত ঘটনার সময়কাল ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।

আরও পড়ুন
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, ঘটনাটি জানাতে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও কার্যকর পদক্ষেপ পাননি। এ বিষয়ে ইডিসিএলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় তারা মন্তব্য করতে রাজি নন। তবে অভিযোগটি যাচাই করে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইডিসিএলের ১৮৫তম বোর্ড সভার অনুমোদনক্রমে মো. সামাদ মৃধাকে প্রতিষ্ঠানটির এমডি পদে বসানো হয়। জানুয়ারিতে আমেরিকা থেকে দেশে এসে এমডি পদে যোগ দেন দ্বৈত নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী সামাদ মৃধা, যিনি ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করে বনে যান বিএনপির রাজনৈতিক কর্মী।

নতুন বাংলাদেশে ইডিসিএল দুর্নীতিমুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাকে ডেকে এনে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ সেই তিনিই অনিয়ম দুর্নীর্তিতে মেতে উঠেছেন। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে। তার দুর্নীতি তদন্তে কমিটি করেছে মন্ত্রণালয়। সেই কমিটি কাজ শুরু করবে। তার দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় অসংখ্য তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার