Logo
Logo
×

জাতীয়

‘ঘাতক’ ছেলেকে পুলিশে দিয়ে যা বললেন মাহিরের মা

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৩ পিএম

‘ঘাতক’ ছেলেকে পুলিশে দিয়ে যা বললেন মাহিরের মা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে সামনে আসে মাহির রহমানের নাম। মাহিরের মা রেখা রহমান আজ সোমবার জানিয়েছেন, ছেলেকে তিনি চকবাজার থানায় হস্তান্তর করেছেন।

মাহির পুরান ঢাকার আরমানিটোলার বাসিন্দা শাবনাম বর্ষার কথিত প্রেমিক। বর্ষাদের বাসায় টিউশনি করতেন জোবায়েদ। সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে রেখা রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, রোববার (গতকাল) রক্তাক্ত ও ক্ষত হাত নিয়ে বাসায় ফেরে মাহির। পরে এ অবস্থার কারণ খুলে বলে। কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। আজ (সোমবার) সকালে তাঁকে চকবাজার থানায় নিয়ে যাই।

রেখা রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে অপরাধ করেছে। তাই আমি তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। ওই ছেলেটিও (জোবায়েদ) তো আরেক মায়ের সন্তান।’

মাহিরকে চকবাজার থানায় হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে। তবে তিনি এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। জানান, পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেছে। তবে মাহিরকে হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অন্য এক কর্মকর্তা। তিনি নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির লালবাগ জোনের উপকমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, জোবায়েদ হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনই তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না। মঙ্গলবার (আগামীকাল) এ নিয়ে ব্রিফ করা হবে। 

জোবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। যুক্ত ছিলেন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে। সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। গতকাল রোববার পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি বাসার সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নুরবক্স লেনের বাসাটিতে টিউশনি করতেন তিনি। 

এ নিয়ে মাহিরের মা রেখা রহমান বলেন, ‘সেদিন সন্ধ্যায় ওই ছেলে (জোবায়েদ) টিউশনিতে যাওয়ার পথে মাহিরের সঙ্গে দেখা হয়। সে মাহিকে ডেকে মোবাইল থেকে বর্ষার ছবি মুছে ফেলতে বলে। মাহিরের এক বন্ধুও ঘটনাস্থলে ছিল। একপর্যায়ে মাহির ও জোবায়েদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। জোবায়েদ দুর্ঘটনাবশত মারা যায়।’

রেখা রহমান বলেন, ‘আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ের (বর্ষা) ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। তারা একই সাথে বড় হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্ত কিছুদিন আগে ওই মেয়ে আমার ছেলেকে জানায় যে সে আর সম্পর্ক রাখবে না।’

আজও মামলা হয়নি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা শেষে জোবায়েদের মরদেহ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তাঁর বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, বর্ষা ও তাঁর বাবা-মা, মাহির রহমান এবং মো. নাফিস নামে আরেকজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলেও বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এজাহার নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। 

সৈকত বলেন, ‘ওসি এজাহার থেকে বর্ষার মা-বাবার নাম বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু আমরা তাদের নাম উল্লেখ করতে চাই। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, যে কয়েকজনের নামে মামলা দিতে চায় নেব। তবে তাদের বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার