Logo
Logo
×

জাতীয়

সাবেক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বিইউপি

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম

সাবেক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বিইউপি

সাভারের খ্রিষ্টান পাড়ায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর এক শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। ঘটনার ৫ দিনে মিঠু নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

অন্যদিকে গণধর্ষণের ঘটনায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন ওই শিক্ষার্থী।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিইউপি’র শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে কয়েকশ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে এসে জড়ো হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা গণধর্ষণের শিকার হওয়া ওই শিক্ষার্থীর ন্যায়বিচার দাবি করেন। 

একপর্যায়ে রাস্তায় বসে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিইউপি’র শিক্ষার্থীরা। 

মিরপুর মডেল থানার ওসি সাজ্জাদ রোমন বলেন, সাভারের একটি ঘটনায় বিইউপি’র শিক্ষার্থীরা মিরপুর ১০ নম্বরে এসেছিল। তারা কিছু সময় রাস্তায় থেকে পরে চলে গেছে।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর রাতে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মিঠু বিশ্বাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নং-১৯ দায়ের করেন।  

এর মধ্যে মূল হোতা মিঠু বিশ্বাসকে (৪৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) ভোর রাতে রাজধানীর তেজগাঁও থানার তেঁজকুনি পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতার মিঠু বিশ্বাস সাভারের কমলাপুর গোয়ালিও এলাকার এস রাফায়েলের ছেলে।  

এদিন সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাভারের কমলাপুর গোয়ালিও এলাকার সোহেল রোজারিও (৩৭) ও বিপ্লব রোজারিও (৪০)।  

মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী (২৫) সাভার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো শেষে বাসায় ফিরছিলেন। বাসায় গিয়ে দেখেন, তার মা বাসায় তালা দিয়ে পাশের এক চা-দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। পরে চা-দোকানির কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফেরার পথে সোহেল রোজারিও মদ্যপ অবস্থায় তরুণীকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর সোহেলের সঙ্গে মিঠু বিশ্বাস ও বিপ্লব রোজারিওর দেখা হয়। এরপর তারা তিনজন মিলে ওই শিক্ষার্থীকে অনুসরণ করতে থাকেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সোহেল রোজারিও তরুণীকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে অপর দুই আসামির সহযোগিতায় সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ পালাক্রমে করা হয়। এ বিষয়ে কাউকে জানালে ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার