Logo
Logo
×

জাতীয়

বর্ধিত মাশুলের প্রতিবাদে বন্দর অচলপ্রায়

Icon

জাগো বাংলা ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম

বর্ধিত মাশুলের প্রতিবাদে বন্দর অচলপ্রায়

বর্ধিত মাশুলের প্রতিবাদে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

এদিকে ট্রাক, কার্ভাডভ্যান, প্রাইম মুভার মালিকদের ডাকে রোববারও বন্দরে ট্রাক, কর্ভাডভ্যান ও প্রাইম মুভার ঢোকা বন্ধ রয়েছে ।

বন্দর সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবাদ কর্মসূচির কারণে কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহন এবং সরবরাহ কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ অপারেশনাল কার্যক্রম সচল থাকার দাবি করলেও সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থার তৈরি হয়েছে।

ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইম মুভার মালিকদের সংগঠনগুলো শনিবার সকাল থেকে বন্দরে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। বন্দরে যানবাহনের প্রবেশ মাশুল ৫৭ টাকার জায়গায় প্রায় চারগুণ বাড়িয়ে ২৩০টাকা করার প্রতিবাদে তাদের ওই কর্মসূচি রোববারও চলছে।

বাংলাদেশ কর্ভাড ভ্যান ট্রাক প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এ কর্মসূচি অব্যাহত আছে। বর্ধিত প্রবেশ ফির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বন্দরে যানবাহন চলাচল প্রবেশ বন্ধ রাখা হবে।”

ট্রাক, কর্ভাডভ্যান ও প্রাইম মুভার প্রবেশ না করায় বন্দরে জাহাজ থেকে খালাস করা কন্টেইনার; খোলা পণ্যও সরবরাহ হচ্ছে না। তাতে বন্দরে কন্টেইনার জট তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেরকম হলে বন্দর সংশ্রিষ্ট ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শংকা করছেন।

একজন সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী বলেন, তারা চার ঘণ্টা বন্দরের ভেতরে কোনো কাজ করেননি। তাতে জাহাজে করে আসা আমদানি পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম বন্ধ থাকে।এখন কর্মবিরতির পর কাজ শুরু করলেও ট্রাক, কর্ভাডভ্যান ও প্রাইম মুভার বন্দরে প্রবেশ না করায় পণ্য সরবরাহ করা যাবে না।

সব মিলিয়ে বন্দরে একধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে তার ভাষ্য।

যানবাহন যে বন্দরে প্রবেশ করছে না, তা স্বীকার করলেও চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক দাবি করেছেন, “অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।”

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকে বসেছেন বলে জানান পরিবহন মালিক নেতা শামসুজ্জামান সুমন।

গত ১৫ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবাখাতে নতুন আরোপিত মাশুল কার্যকর করা হয়। এ দফা বিভিন্ন খাতে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়ানো হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার