Logo
Logo
×

জাতীয়

সেন্টমার্টিন পরিবহনে দুর্ঘটনা : ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম

সেন্টমার্টিন পরিবহনে দুর্ঘটনা : ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ
সিঙ্গেল চেসিসের ওপর অবৈধভাবে স্লিপার-দোতলা বাস নির্মাণ করে সড়কে বেপরোয়া ও নিয়ন্ত্রণহীন গতির কারণে চট্টগ্রাম-কুমিল্লা মহাসড়কে সেন্টমার্টিন পরিবহনের দুর্ঘটনার ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে দুর্ঘটনায় আহত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরানের পক্ষে ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান এ নোটিশ প্রেরণ করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি এবং সেন্টমার্টিন পরিবহনের মালিক মনোয়ার হোসেনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, আমার মক্কেল সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি গত ১৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে মনোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন সেন্টমার্টিন পরিবহনের এফ ৩ নম্বর সিটে রওয়ানা করেন। পরিবহনটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ঢাকা মেট্রো-ব-১২-২৮৮১। বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর থেকে সংশ্লিষ্ট চালক সম্পূর্ণ অনিয়ন্ত্রিত ও স্বেচ্ছাধীনভাবে বাসটি চালাতে থাকেন, যাতে আমার মক্কেলসহ বাসে থাকা যাত্রীরা অনেকবার তাকে সতর্ক করেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বেপরোয়াভাবে বাসটি ওভারটেকিং করে চালানোর কারণে রাত আনুমানিক ২টা ৫ মিনিটের সময় বাসটি প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বাম পাশে (বাসের) আছড়ে পড়ে বিকট শব্দ হয় এবং মুহূর্তে সমগ্র বাসটি অন্ধকারে আছন্ন হয়ে যায় ও এক ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীরা নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আত্মচিৎকার করতে থাকেন। কেউ কেউ মোবাইল ফোনের আলোতে বাসের কিছু অংশ ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। আমার মক্কেলও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। আমার মক্কেলের শরীরে আভ্যন্তরীণ আঘাতের কারণে তার জীবন এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন সত্ত্বেও তিনি এখনও স্বাভাবিকভাবে রাতে ঘুমাতে পারেন না। 
এ অবস্থায় আমার মক্কেলের পরিবার তার শারীরিক উন্নতির জন্য এবং উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে ভারতের একটি হাসপাতালে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করিয়েছেন এবং ভিসা পাওয়ার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর ফলে আমার মক্কেলের আইন পেশায় ফিরে আসা নিয়ে দীর্ঘ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যার ফলে আমার মক্কেল শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি ২৬ দিন যাবৎ আইন পেশা থেকে দূরে রয়েছেন এবং পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সময়ও অনিশ্চিত। এতে এ পর্যন্ত তার প্রায় ৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসা বাবদ আমার মক্কেলের প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। সুতরাং আমার মক্কেলের ওই ক্ষতিপূরণসহ যাবতীয় ক্ষতিপূরণ মনোয়ার হোসেন দিতে বাধ্য।

নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে নোটিশদাতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে তার শারীরিক, মানসিক ও পেশাগত ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। অন্যথায় হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করাসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার