Logo
Logo
×

জাতীয়

রিপন মিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৪ এএম

রিপন মিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

নেত্রকোণার জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াযিনি ‘রিপন ভিডিও’ নামে সামাজিক মাধ্যমে পরিচিত। সহজ-সরল জীবনযাপন ও বাস্তবধর্মী কথাবার্তার কারণে অল্প সময়েই লাখো অনুসারীর মন জয় করেছেন। তবে হঠাৎ পাওয়া এই জনপ্রিয়তার ভিড়ে পরিবারের সঙ্গে রিপনের সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।

সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশনের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, রিপনের মা অভিযোগ করেছেন, তার ছেলে এখন গরিব বাবা-মায়ের পরিচয় দিতেও লজ্জা পান। রিপন পুরোনো ভাঙা বাড়ি ছেড়ে নতুন পাকা বাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা থাকেন এবং তাদের ভরণপোষণ দেন না।

রিপনের মা জানান, ছেলেকে খুব কষ্ট করে মানুষ করেছেন, গরিব বলে রিপন এখন আর তাদের পরিচয় দেন না। পরিচয় দিলে যদি তার মান-সম্মান না থাকে। ছেলে তাদের অস্বীকার করলেও রিপনের জন্য মন খুলে দোয়া করেছেন তার মা।

মনে চাপা কষ্ট নিয়ে রিপনের মা বলেন, আমাদের আল্লাহ যেভাবে রাখছে রাখুক। সে বড় হইছে আরও বড় হোক, দোয়া করি।

এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের মা নিশ্চিত করেন, রিপনের বিয়ে পারিবারিকভাবে হয়েছে এবং তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে রিপন মিয়াকে তার পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ভিন্ন তথ্য দেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকার কথা অস্বীকার করে দাবি করেন, তিনি বিয়ে করেননি। যাকে তার স্ত্রী বলা হচ্ছে, তিনি আসলে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী।

অন্যদিকে, রিপনের বাবা আফসোস করে জানান, প্রথমে তিনি রিপনকে ভিডিও বানাতে সহযোগিতা করতেন, কিন্তু পরে ছেলে তাকে বাদ দিয়ে অন্যদের সঙ্গে কাজ শুরু করে। সেই আক্ষেপে এখন তিনি ছেলের ভিডিও দেখেন না। বাবার দাবি, রিপন ভরণপোষণ না দিলেও খোঁজ-খবর নেন। এসব নিয়ে রিপনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও রাজি হননি তিনি।

তবে বাবা-মাকে ভরণপোষণ না দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন রিপন মিয়া। এর আগে তার নিজের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে ধরে লেখেন, অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকরা তার ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের ভিডিও করেছেন। রিপনের এই পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার