আবু ত্বহা আদনানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন সাবিকুন নাহার

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারাহ।
সোমবার রাতে এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে ত্বহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন তিনি। ওই পোস্টে আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জারিন জাবিনের ছবিও প্রকাশ করেন সাবিকুন নাহার।
পোস্টের শেষে তিনি লিখেন, ‘আমি দুই বছর যাবৎ সমাধানে আসতে চাচ্ছি আমাকে সাহায্য করা হয়নি, বসা হয়নি। কথা বলতেও সুযোগ দেয়নি, বড়রা ডাকলেও যায়নি। এবার ইনশাআল্লাহ সমাধান হবে। তাছাড়া এটা ছাড়া তিনি কখনোই আর শোধরাবে না,সমস্যা সলভও হবেনা। এবার হয়তো তিনি সবচেয়ে পরিশুদ্ধ মানুষদের একজন হবে। শুধু আমার ভাগ্যেই এ পরিশুদ্ধ মানুষটি হলোনা। অন্য কেউ তার জীবনে সুখে থাক।আলহামদুলিল্লাহ। আমি কি চাই? আমি এসব ধারাবাহিক যন্ত্রণায় ক্ষতিগ্রস্ত, আমার সময়, আমার মা’মুলাত ক্ষতিগ্রস্ত। সব বরবাদ হয়ে যাক আমার পরকাল বাকি থাক। আমার আর কোনো চাওয়া, আশা, আকাঙ্খা, রঙ কিচ্ছু নেই। আমি আর তার চেহারা দেখতে চাইনা, আমার চেহারাটাও আর দেখাতে চাইনা।’
তিনি আরও বলেন, হে আমার জাতি, শুধু এতটুকু বলতে চাই—আরশের মালিকের কসম, আমাকে একের পর এক মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। কাবার রবের শপথ, আমি জিনাকার নই। মোহাম্মদের রবের কসম, আমি ব্যভিচারী নই। যার হাতে আমার প্রাণ, তার কসম, আমি কোনো পরনারীর সঙ্গে হারাম সম্পর্কে জড়িত নই।
ত্বহা জানান, বিষয়টি এখন দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামদের উপস্থিতিতে শরীয়াসম্মত ও আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের পথে রয়েছে।
তিনি বলেন, ফা সবরুন জামিল! আমি বিষয়টি দেশের বরেণ্য মুরব্বি ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে শারিয়া সম্মতভাবে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া মেনে সমাধানের পথে হাটছি! যারা ছেড়ে গেছেন, যেতে পারেন। যারা সাথে ছিলেন, তাদের বলব যদি ভবিষ্যতে প্রিয় মানুষদের! দ্বারা আরও কোনো ইলজাম, হেনস্থা, বা মিথ্যা মামলার স্বীকার হই (যার আশংকা উড়িয়ে দেইনা) অন্তত আপনাদের দুয়ার আমাকে শামিল রাখবেন!
এছাড়াও বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ে সাবিকুন্নাহারকে নিয়ে যেন কোনো আলোচনা না করা হয় সে বিষয়ে ত্বহা লিখেছেন, ‘অনুগ্রহ করে যখন আমি কোনো দেহের পোশাক থাকব না তখন সেই দেহের ব্যাপারে আমাকে, আমার পরিবার ও দ্বীনকে জড়িয়ে অনলাইন গরম করে আপনারা নিজেদের গুনাহ বাড়াতে যাবেন না! আমাদের সবার দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য এটাই হবে উত্তম অবস্থান! কোটি মানুষের শহরে আমার দুটো সন্তান আছে! দুয়া করবেন তাদের বাবা যেন তাদের থেকে মাহরুম না হন! তারাও বাবার বুকের উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত না হয়! আল্লাহর কসম! তারা আমার কাছে অনেক বেশিই প্রিয়! অনেক ভালোবাসার! যাদের মুখের দিকে তাকিয়েই বছরের পর বছর সবর করে গেছি! আমার হুরপরি আইশাহ! আমার ‘ইউসুফ’ কলিজার টুকরা উসমান!’