মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্য, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৯ পিএম

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্য নায়েক মোহাম্মদ আকতারকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ১২ মিনিটের সময় বিজিবির নিজস্ব হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে বিজিবির গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে রোববার সকালে কক্সবাজার-৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে থাকা বাইশফাঁড়ি সীমান্তে বিজিবির একটি টহল দল ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি অবস্থানে গেলে মাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য আকতারের পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়।
সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলটি বর্তমানে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে থাকা অংজান ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই এলাকায় পূর্বে আরাকান আর্মির সদস্যদের পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বিজিবি টহল জোরদার রয়েছে, তারই কার্যক্রম হিসেবে ঘুমধুমে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে বিজিবির একটি দল সীমান্ত পিলার ৪০ ও ৪১ নাম্বার পিলারের মাঝামাঝি টহলরত অবস্থায় নায়েক আকতার মাইন বিস্ফোরণে আহত হন। আহত বিজিবির সদস্যকে প্রাথমিকভাবে উদ্ধার করে দ্রুত রামু সিএমএইচে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সীমান্তজুড়ে মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাত, আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ এবং স্থাপন করা মাইন ফাঁদের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজীবন ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাছাড়াও এর আগে একই সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার এবং অনুপ্রবেশ বন্ধে কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।