টায়ার কেনার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল করবেন

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম

একটি গাড়ির ইঞ্জিন তার প্রাণশক্তি হলেও, রাস্তায় সেই শক্তিকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি হল টায়ার। টায়ার হল মোটরযানের সেই অংশ, যা সরাসরি মাটির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এর মূল কাজ শুধুমাত্র ঘুরে বাহনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়, এর গতি, নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা এবং কমফোর্ট সবকিছুতেই টায়ার সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে বাইকের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও সেনসিটিভ, কারণ এই টায়ারের ওপর বাইকের নিয়ন্ত্রণ নির্ভর করে। কাজেই, টায়ার কেনার সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিৎ; জানা যাক সেগুলো।
১. টায়ারের সাইজ এবং স্পেসিফিকেশন
প্রথমেই নিশ্চিত করুন বাইকের টায়ারের সঠিক সাইজ। টায়ারের পাশে লেখা থাকে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও রেডিয়াল স্পেসিফিকেশন (যেমন 100/90-18)। বাইকের ম্যানুয়াল বা বর্তমান টায়ারের তথ্য দেখে সঠিক সাইজ বেছে নিন। ভুল সাইজের টায়ার শুধু রাইডকে অস্বস্তিকর করবে না, বরং নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।
২. ব্যবহার এবং রাইডের ধরন
আপনি কোথায় বেশি রাইড করবেন,শহরের রাস্তায় নাকি অফ-রোডে? সড়ক চলাচলের জন্য হল টায়ারের প্রোফাইল ও ট্রেড প্যাটার্ন সমানভাবে রাস্তায় গ্রিপ দেয় এমন হওয়া ভালো। অন্যদিকে অফ-রোড বা মিক্সড রাইডের জন্য টায়ারের ট্রেড (যেটাকে বিট বলা হয়) গভীর ও দাড়িপূর্ণ হওয়া উচিত, যাতে বালি, কাদা বা পাথুরে পথে ভালো গ্রিপ পাওয়া যায়।
৩. টায়ারের ব্র্যান্ড এবং মান
সস্তা টায়ার অল্পদিনের জন্য ভালো কাজ করে, এরপর নিরাপত্তা বা দীর্ঘস্থায়িত্ব কমে যায়। বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের টায়ার সাধারণত বেশি টেকসই এবং মান বজায় রাখে। এতে রাইডিং নিরাপদ থাকে এবং দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণও সহজ হয়।
৪. টায়ারের পিচ এবং ট্রেড ডিজাইন
টায়ারের পিচ বা ট্রেড ডিজাইন বাইকের গ্রিপ, হ্যান্ডলিং এবং পানি ছড়ানোর ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। কাজেই টায়ার বাছাইয়ের সময় এই দিকটি দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত, পানি বা ভেজা রাস্তায় গভীর ট্রেড লাইন থাকা টায়ারগুলো থেকে নিরাপত্তা বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও ধোলাটে, সমান বা মসৃণ পিচের রাস্তায়ও গভীর ট্রেড লাইনের টায়ার বাইককে ভালো কনট্রোলে রাখে।
৫. টায়ারের বয়স
নতুন টায়ার কিনলে উৎপাদনের তারিখ দেখুন। টায়ারের পাশে ৪ সংখ্যার কোড থাকে, যেমন 1317 অর্থাৎ ১৩তম সপ্তাহ, ২০১৭ সালে তৈরি। ৩–৪ বছরের বেশি পুরনো টায়ার অনেক সময় নতুন দেখতে হলেও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
৬. বাজেট এবং ব্যালান্স
টায়ার কেনার সময় সাশ্রয়ী দাম খুঁজলেও মান এবং নিরাপত্তা বিবেচনা করা জরুরি। অনেক সময় বেশি দাম মানে বেশি স্থায়িত্ব। সঠিক বাজেটের মধ্যে মানসম্পন্ন টায়ার বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে, টায়ার প্রতিস্থাপনের পর নিয়মিত এয়ার প্রেশার, টায়ারের সমান পরিধি ও ক্ষয় পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। কিছু ব্র্যান্ডের টায়ার দীর্ঘস্থায়ী হলেও নিয়মিত চেকআপ রাইডকে নিরাপদ রাখে।
১. টায়ারের সাইজ এবং স্পেসিফিকেশন
প্রথমেই নিশ্চিত করুন বাইকের টায়ারের সঠিক সাইজ। টায়ারের পাশে লেখা থাকে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও রেডিয়াল স্পেসিফিকেশন (যেমন 100/90-18)। বাইকের ম্যানুয়াল বা বর্তমান টায়ারের তথ্য দেখে সঠিক সাইজ বেছে নিন। ভুল সাইজের টায়ার শুধু রাইডকে অস্বস্তিকর করবে না, বরং নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।
২. ব্যবহার এবং রাইডের ধরন
আপনি কোথায় বেশি রাইড করবেন,শহরের রাস্তায় নাকি অফ-রোডে? সড়ক চলাচলের জন্য হল টায়ারের প্রোফাইল ও ট্রেড প্যাটার্ন সমানভাবে রাস্তায় গ্রিপ দেয় এমন হওয়া ভালো। অন্যদিকে অফ-রোড বা মিক্সড রাইডের জন্য টায়ারের ট্রেড (যেটাকে বিট বলা হয়) গভীর ও দাড়িপূর্ণ হওয়া উচিত, যাতে বালি, কাদা বা পাথুরে পথে ভালো গ্রিপ পাওয়া যায়।
৩. টায়ারের ব্র্যান্ড এবং মান
সস্তা টায়ার অল্পদিনের জন্য ভালো কাজ করে, এরপর নিরাপত্তা বা দীর্ঘস্থায়িত্ব কমে যায়। বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের টায়ার সাধারণত বেশি টেকসই এবং মান বজায় রাখে। এতে রাইডিং নিরাপদ থাকে এবং দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণও সহজ হয়।
৪. টায়ারের পিচ এবং ট্রেড ডিজাইন
টায়ারের পিচ বা ট্রেড ডিজাইন বাইকের গ্রিপ, হ্যান্ডলিং এবং পানি ছড়ানোর ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। কাজেই টায়ার বাছাইয়ের সময় এই দিকটি দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত, পানি বা ভেজা রাস্তায় গভীর ট্রেড লাইন থাকা টায়ারগুলো থেকে নিরাপত্তা বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও ধোলাটে, সমান বা মসৃণ পিচের রাস্তায়ও গভীর ট্রেড লাইনের টায়ার বাইককে ভালো কনট্রোলে রাখে।
৫. টায়ারের বয়স
নতুন টায়ার কিনলে উৎপাদনের তারিখ দেখুন। টায়ারের পাশে ৪ সংখ্যার কোড থাকে, যেমন 1317 অর্থাৎ ১৩তম সপ্তাহ, ২০১৭ সালে তৈরি। ৩–৪ বছরের বেশি পুরনো টায়ার অনেক সময় নতুন দেখতে হলেও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
৬. বাজেট এবং ব্যালান্স
টায়ার কেনার সময় সাশ্রয়ী দাম খুঁজলেও মান এবং নিরাপত্তা বিবেচনা করা জরুরি। অনেক সময় বেশি দাম মানে বেশি স্থায়িত্ব। সঠিক বাজেটের মধ্যে মানসম্পন্ন টায়ার বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে, টায়ার প্রতিস্থাপনের পর নিয়মিত এয়ার প্রেশার, টায়ারের সমান পরিধি ও ক্ষয় পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। কিছু ব্র্যান্ডের টায়ার দীর্ঘস্থায়ী হলেও নিয়মিত চেকআপ রাইডকে নিরাপদ রাখে।