Logo
Logo
×

জাতীয়

আমি আওয়ামী লীগের কাছেও নিরাপদ না, বিএনপির কাছেও না: হিরো আলম

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৩ এএম

আমি আওয়ামী লীগের কাছেও নিরাপদ না, বিএনপির কাছেও না: হিরো আলম

আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি— কোনো দলের কাছেই নিজেকে নিরাপদ মনে করেন না কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সময় তিনবার মার খেয়েছি। আওয়ামী লীগ চলে যাওয়ার পর একবার মার খেয়েছি।

“আমি আওয়ামী লীগের কাছেও নিরাপদ না, বিএনপির কাছেও নিরাপদ না।”

বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে গত ৫ অক্টোবর বাড্ডা থানায় মামলা করেন তিনি। এ মামলায় মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার খিলক্ষেতের ডুমনী বাজার থেকে কামরুল ইসলাম রিয়াজ ওরফে ম্যাক্স অভিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অভিকে গ্রেপ্তারে খবরে বুধবার আদালতে আসেন হিরো আলম। হামলার বিষয়ে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।

হিরো আলম বলেন, “আমি সন্ধ্যায় আফতাবনগরে ঘুরতে যাই। কিছুক্ষণ পর তিনটা মোটরসাইকেল এসে আমাকে আটকিয়ে কাশবনের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মারধর করে। আশপাশের মানুষ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

“মিথিলা নামে এক নারী, তার স্বামী, ভাই ও অভিসহ আরও কয়েকজন আমার ওপর হামলা চালায়।”

তিনি বলেন,'প্রথমে যখন আমাকে মারা হয়, তখন আসামিরা বলে, তোর তো কলিজা অনেক বড়; তোর অনেক সাহস। তুই নাকি ঢাকা থেকে সামনে নির্বাচন করবি? এই বলে আমাকে কানে মুখে থাপ্পড় মারে। সাদা রঙের বাইকে ছিল অভি। সে বলে, ‘বড় ভাই, সে আমার অনেক ক্ষতি করেছে’।”

হিরো আলম বলেন, “মিথিলার সঙ্গে আমার একসময় সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে হেনস্থা করে। পরে সে ম্যাক্স অভির সঙ্গে পরিকল্পনা করে আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে।”

নির্বাচন করার ইচ্ছা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি দল গঠন করে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। দেশে বর্তমানে রাজনীতির যে অবস্থা, আমার আর রাজনীতি করার ইচ্ছা নেই। আমি আর নির্বাচনও করতে চাই না; দলও করতে চাই না।”

এদিকে অভিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই গোলাম কিবরিয়া খান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান চৌধুরী তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম জুয়েল রানা জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার