নতুন পে স্কেলে ১:৪ অনুপাত দাবি, সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন বেতন কত হবে?

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪০ পিএম

নতুন পে স্কেলে সুনির্দিষ্ট ও বর্ধিত ভাতার দাবি পেশ করছেন সরকারি কর্মচারীরা। দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে এ দাবি জানিয়েছেন তারা। তাদের মূল দাবি—বেতন বৈষম্য দূর করে অন্তত ১:৪ অথবা ১:৬ অনুপাতে পে স্কেল কার্যকর করা হোক।
এই দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।
আগামী শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করবেন ‘১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম’-এর নেতারা। ইতোমধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে হলরুম বুক করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ‘সংবাদ সম্মেলনের ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল ঘোষণা, হরণকৃত টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যমান ভাতাসমূহ পুনর্নির্ধারণ ও শতভাগ পেনশন প্রবর্তনের দাবি জানানো হবে।’ এসব দাবি মানার জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর সময় বেঁধে দেবেন তারা।
১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল ঘোষণা করার দাবি থাকবে আমাদের। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন ১:৪ অনুপাত করার দাবি থাকবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার করার প্রস্তাবনা থাকবে। পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান গ্রেড ভেঙে ১২-১৫টি করার দাবি জানাবে সংগঠনটি।
তাদের অভিযোগ, বেতন বৈষম্যের কারণেই তাদের পে স্কেল পেতে এত দীর্ঘ সময় লেগেছে। তারা মনে করেন, যদি বৈষম্য না থাকত, তবে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আগেই বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাতেন এবং এর ফলে সাধারণ কর্মচারীরা আরো অন্তত দুটি পে স্কেল পেয়ে যেতেন। বর্তমান কাঠামোয় কর্মকর্তাদের জীবনযাত্রায় কোনো অসুবিধা না হওয়ায়, তারা বেতন স্কেল নিয়ে ভাবেন না। কিন্তু ছোট কর্মচারীদের সংসার চালানো এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ।