শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া-চিকিৎসাভাতা বাড়াতে নতুন প্রস্তাব

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি উপেক্ষা করে বাড়িভাড়া মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িয়ে পরিপত্র জারি করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষকরা। পরিপত্র প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ঢাকায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে এবার ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা বৃদ্ধি ও কর্মচারীদের ঈদের বোনাস ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নতুন প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে প্রস্তাবের কপি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ।
প্রস্তাবে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্তমানে উৎসবভাতা (বোনাস) বাবদ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ, চিকিৎসকভাতা বাবদ মাসিক ৫০০ টাকা ও বাড়িভাড়া বাবদ মাসিক এক হাজার টাকা হারে পাচ্ছেন।
এতে আরও বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের উৎসবভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা, শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা এবং বাড়িভাড়া এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকায় উন্নীত করার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা একটি আধা সরকারি পত্র অর্থ বিভাগে প্রেরণ করেছেন।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বাড়িভাড়া ভাতা নির্দিষ্ট পরিমাণের পরিবর্তে মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মূল বেতনের শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দিতে সম্ভাব্য আর্থিক হিসাব পাঠানো হলো।
২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া দিলে খরচ হবে কত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন বেসরকারি স্কুল ও কলেজগুলোতে বর্তমানে মাসিক এক হাজার টাকা হারে বাড়িভাড়া দেওয়া হয়। তাতে সরকারের মাসে ব্যয় হয় ৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর বছরে খরচ হয় ৪৬৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
প্রস্তাবিত ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া দিলে মাউশির আওতাধীন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য মাসে ব্যয় হবে ১৯৬ কোটি টাকা। আর বছরে খরচ হবে ২ হাজার ৩৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাদরাসাগুলোতে মাসিক এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হয়। এটিও ২০ শতাংশ হারে দিলে বছরে সরকারের ব্যয় হবে ১ হাজার ১২৩ কোটি ২ লাখ টাকা।
অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাবদ বর্তমানে ব্যয় হয় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। মূল বেতনের ওপর ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া দিলে সরকারের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ১৪১ কোটি ৯০ হাজার টাকা।
চার ক্যাটাগরিতে শতাংশ হারে বাড়িভাড়ার প্রস্তাব
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দাবি করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ হারে হিসাব কষে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এতে কত শতাংশ বাড়ালে মাসিক ও বাৎসরিক খরচ কত হবে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ (১০০০ টাকা) বাড়িভাড়ার পরিবর্তে শতকরা ২০ শতাংশ বা ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা হারে ভাতা দিলে বছরে খরচ হবে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। তার মধ্যে স্কুল-কলেজের জন্য খরচ হবে দুই হাজার ৩৫১ কোটি ৯৫ লাখ, মাদরাসার জন্য ৯০৭ কোটি ২ লাখ এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১৪১ কোটি ৯০ হাজার টাকা।
মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দিলে বছরে মোট খরচ হবে ২ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের জন্য ১ হাজার ৭২৭ কোটি, মাদরাসার জন্য ৬০৮ কোটি ৪০ লাখ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১০৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।
১০ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দিলে বছরে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের জন্য ১ হাজার ২৬৪ কোটি ২৩ লাখ, মাদরাসার জন্য ৪২৯ কোটি ৬০ লাখ এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৭৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।
এছাড়া মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দিলে বছরে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৩৭১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের জন্য ৯৭৫ কোটি ৬০ লাখ, মাদরাসার জন্য ৩৩৯ কোটি ৬০ লাখ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৫৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।
চিকিৎসাভাতা ১০০০ টাকা, বোনাস ৭৫ শতাংশের প্রস্তাব
বর্তমানে দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসিক ৫০০ টাকা করে চিকিৎসাভাতা পাচ্ছেন। তবে তারা এ ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। শিক্ষকরা বলছেন, বর্তমানে কোথাও একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেখাতে ৮০০ টাকার নিচে ভিজিটিং চার্জ নেই। সেখানে ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা খুবই অপ্রতুল।
তাদের এ দাবি বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে মাসিক ১০০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসবভাতা (বোনাস) ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আগে ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ বোনাস পেতেন। সম্প্রতি শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের বোনাস ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এর বিরোধিতা করছেন খোদ শিক্ষকরাই।
তারা বলছেন, কর্মচারীরা খুবই কম বেতন পান। তাদের মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ বোনাস দেওয়া উচিত। তার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মচারীদের বোনাস ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার প্রস্তাব পাঠালো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষকদের বোনাস ৫০ শতাংশই বহাল থাকবে।
শতাংশ হারে বাড়িভাড়ার নতুন প্রস্তাব দেখুন এখানে
অর্থ মন্ত্রণালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ও বোনাস বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী।
তিনি বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অর্থ বিভাগ প্রস্তাবে অনুমোদন করলে শিক্ষকরা শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। অনুমোদনের আগে কত শতাংশ বাড়বে তা বলা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সবশেষ ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা দেশে বর্তমানে মোট এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৪৭টি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার কর্মচারী।
ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে এবার ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা বৃদ্ধি ও কর্মচারীদের ঈদের বোনাস ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নতুন প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে প্রস্তাবের কপি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ।
প্রস্তাবে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্তমানে উৎসবভাতা (বোনাস) বাবদ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ, চিকিৎসকভাতা বাবদ মাসিক ৫০০ টাকা ও বাড়িভাড়া বাবদ মাসিক এক হাজার টাকা হারে পাচ্ছেন।
এতে আরও বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের উৎসবভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা, শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা এবং বাড়িভাড়া এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকায় উন্নীত করার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা একটি আধা সরকারি পত্র অর্থ বিভাগে প্রেরণ করেছেন।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বাড়িভাড়া ভাতা নির্দিষ্ট পরিমাণের পরিবর্তে মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মূল বেতনের শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দিতে সম্ভাব্য আর্থিক হিসাব পাঠানো হলো।
২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া দিলে খরচ হবে কত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন বেসরকারি স্কুল ও কলেজগুলোতে বর্তমানে মাসিক এক হাজার টাকা হারে বাড়িভাড়া দেওয়া হয়। তাতে সরকারের মাসে ব্যয় হয় ৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর বছরে খরচ হয় ৪৬৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
প্রস্তাবিত ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া দিলে মাউশির আওতাধীন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য মাসে ব্যয় হবে ১৯৬ কোটি টাকা। আর বছরে খরচ হবে ২ হাজার ৩৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাদরাসাগুলোতে মাসিক এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হয়। এটিও ২০ শতাংশ হারে দিলে বছরে সরকারের ব্যয় হবে ১ হাজার ১২৩ কোটি ২ লাখ টাকা।
অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাবদ বর্তমানে ব্যয় হয় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। মূল বেতনের ওপর ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া দিলে সরকারের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ১৪১ কোটি ৯০ হাজার টাকা।
চার ক্যাটাগরিতে শতাংশ হারে বাড়িভাড়ার প্রস্তাব
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দাবি করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ হারে হিসাব কষে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এতে কত শতাংশ বাড়ালে মাসিক ও বাৎসরিক খরচ কত হবে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ (১০০০ টাকা) বাড়িভাড়ার পরিবর্তে শতকরা ২০ শতাংশ বা ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা হারে ভাতা দিলে বছরে খরচ হবে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। তার মধ্যে স্কুল-কলেজের জন্য খরচ হবে দুই হাজার ৩৫১ কোটি ৯৫ লাখ, মাদরাসার জন্য ৯০৭ কোটি ২ লাখ এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১৪১ কোটি ৯০ হাজার টাকা।
মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দিলে বছরে মোট খরচ হবে ২ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের জন্য ১ হাজার ৭২৭ কোটি, মাদরাসার জন্য ৬০৮ কোটি ৪০ লাখ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১০৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।
১০ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দিলে বছরে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের জন্য ১ হাজার ২৬৪ কোটি ২৩ লাখ, মাদরাসার জন্য ৪২৯ কোটি ৬০ লাখ এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৭৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।
এছাড়া মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দিলে বছরে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৩৭১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের জন্য ৯৭৫ কোটি ৬০ লাখ, মাদরাসার জন্য ৩৩৯ কোটি ৬০ লাখ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৫৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।
চিকিৎসাভাতা ১০০০ টাকা, বোনাস ৭৫ শতাংশের প্রস্তাব
বর্তমানে দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসিক ৫০০ টাকা করে চিকিৎসাভাতা পাচ্ছেন। তবে তারা এ ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। শিক্ষকরা বলছেন, বর্তমানে কোথাও একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেখাতে ৮০০ টাকার নিচে ভিজিটিং চার্জ নেই। সেখানে ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা খুবই অপ্রতুল।
তাদের এ দাবি বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে মাসিক ১০০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসবভাতা (বোনাস) ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আগে ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ বোনাস পেতেন। সম্প্রতি শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের বোনাস ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এর বিরোধিতা করছেন খোদ শিক্ষকরাই।
তারা বলছেন, কর্মচারীরা খুবই কম বেতন পান। তাদের মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ বোনাস দেওয়া উচিত। তার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মচারীদের বোনাস ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার প্রস্তাব পাঠালো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষকদের বোনাস ৫০ শতাংশই বহাল থাকবে।
শতাংশ হারে বাড়িভাড়ার নতুন প্রস্তাব দেখুন এখানে
অর্থ মন্ত্রণালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ও বোনাস বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী।
তিনি বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অর্থ বিভাগ প্রস্তাবে অনুমোদন করলে শিক্ষকরা শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। অনুমোদনের আগে কত শতাংশ বাড়বে তা বলা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সবশেষ ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা দেশে বর্তমানে মোট এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৪৭টি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার কর্মচারী।