দেশ ছাড়ছেন বাংলাদেশী তরুণরা, কারণ কী?

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১০ এএম
ভিসা, লাগেজ আর অফার লেটার হাতে নতুন স্বপ্ন নিয়ে প্রতিদিনই বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলাদেশের তরুণরা। কেউ যাচ্ছেন উচ্চ শিক্ষার জন্য, কেউবা উন্নত জীবনের আশায়। সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছরই এই সংখ্যা বাড়ছে—আর তাঁদের বড় একটি অংশ আর দেশে ফিরছেন না।
ইউনেস্কোর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে প্রায় ৫২,৭৯৯ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে গেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় তিন হাজার বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রবণতা কেবল শিক্ষা নয়, দেশের কর্মপরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রশাসনিক জটিলতার প্রতিফলন। “দেশে ভালো চাকরির সুযোগ নেই, সিস্টেমের জবাবদিহিতা নেই। তাই তরুণরা বিদেশে ভবিষ্যৎ খুঁজছে,” —অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা
অনেক তরুণের মতে, পড়াশোনা শেষ করেও দেশে কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়া কঠিন। অন্যদিকে বিদেশে মেধা অনুযায়ী সুযোগ, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল জীবন তাদের টানে। কোচিং সেন্টার ও দূতাবাসের সামনে ভিসার আবেদনকারীদের ভিড়ই যেন তার প্রমাণ।
অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, তরুণ মেধার এই দেশত্যাগ নীতিনির্ধারকদের দীর্ঘদিনের ব্যর্থতার ফল। দেশের শিল্প, গবেষণা ও প্রযুক্তি খাতে কাঠামোগত উন্নয়ন না ঘটলে, মেধা রপ্তানির এই ধারা আরও বাড়বে।
“একটা দেশ টিকে থাকে তরুণদের মেধা ও স্বপ্নে,” —ড. জিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, “যখন সেই তরুণরা ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ ছাড়ছে, তখন তাদের প্রতিভা কাজে লাগাচ্ছে অন্যরা।”
উন্নত কর্মপরিবেশ, গবেষণার সুযোগ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না ফিরলে, বাংলাদেশ থেকে মেধা পাচার আগামী বছরগুলোতে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।