Logo
Logo
×

জাতীয়

সরকারি ছুটি কমছে

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০২ পিএম

সরকারি ছুটি কমছে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছরে ছুটি ৭৯ দিনের মতো। আর ১৭৯ দিনের মতো স্কুল খোলা থাকে। এমতাবস্থায় ছুটি কমানোর চিন্তা করছে সরকার। ছুটি ৭৯ দিন থেকে কমিয়ে ৬০ দিনের মতো করা হচ্ছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরায় এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।

সাতক্ষীরা শহরের লেকভিউ রিসোর্টের মিলনায়তনে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কারিগরি সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার ৪০ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশে বছরে মাত্র ১৭৯ দিন স্কুল খোলা পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় বাড়াতে ছুটির ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আমাদের বছরে ছুটি ছিল ৭৯ দিন। তা কমিয়ে ৬০ দিনের মতো করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সময় স্কুলে থাকতে পারবে এবং পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে। 

স্কুলের আশপাশে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি আরও বলেন, প্রায় সব স্কুলের বাউন্ডারি ওয়ালের বাইরে সারি সারি দোকান রয়েছে। এসব দোকানে ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি, আইসক্রিমসহ নানা মুখরোচক খাবার বিক্রি হয়। কিন্তু এগুলোতে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। ফুচকা বিক্রেতারা এক বালতি পানি দিয়েই সারাদিনের সব কাজ করছে। একই পানি দিয়ে প্লেট ধোয়া, হাত ধোয়া, এমনকি ঘাম মোছারও কাজ করছে। এরপর একটি গামছা দিয়েই সব মুছে ফেলা হয়। অথচ আমরা সেসব খাবারই খেয়ে থাকি।

তিনি বলেন, অন্যদিকে সামর্থ্যবানরা তথাকথিত ‘জাঙ্কফুড’ খাচ্ছেন, যেখানে কেমিক্যালসহ নানা অস্বাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহার করা হয়। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা কোথাও দাঁড়িয়ে নেই। শিক্ষকদের মনে রাখতে হবে—‘ফুড সিকিউরিটি’ ও ‘ফুড সেফটি’। শুধু খাবারের প্রাপ্যতা নয়, খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি।

প্রশিক্ষণে শিশুদের জন্য নিরাপদ খাদ্যের প্রাথমিক ধারণা, মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি, করণীয়-বর্জনীয় এবং হাত ধোয়ার পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত ছিল। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে সচেতন করবেন।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, সচিব ও এসটিআইআরসি প্রকল্পের পরিচালক শ্রাবস্তী রায়, প্রকল্পের টিম লিডার আতসুশি কইয়ামা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন এবং জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার দীপংকর দত্ত।

খাদ্য নিরাপদ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া বলেন, আমরা সবাই সুস্বাস্থ্য চাই। সুস্বাস্থ্যের দুটি মূলনীতি হলো—যে খাদ্য গ্রহণ করবেন তা যেন নিরাপদ হয় এবং সুস্বাস্থ্যের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এ দুটি বিষয় মানা না হলে চিকিৎসক যতই চেষ্টা করুন না কেন, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার