চাকসুর অনার বোর্ডে আবার লেখা হলো মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) অনার বোর্ডে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও চাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম পুনরায় লিখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় টাঙানো অনার বোর্ডে দেখা যায় তার নাম।
জানা যায়, ১০ বছর আগে ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নামটি কালো কালি দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ঢাকা ছিল সাবেক এই জিএসের নাম। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর গত ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এই আলোচিত ছাত্রনেতা, তবুও কালি মোছা হয়নি অনার বোর্ড থেকে। এরইমধ্যে চাকসু নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হলে আলোচনায় উঠে আসে বিষয়টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী চাকসু ভবনের তৃতীয় তলায় থাকা অনার বোর্ড থেকে মান্নার নাম কালো কালি দিয়ে মুছে দেন। একই দিনে চাকসুর সংগ্রহশালায় টাঙানো তার ছবিও খুলে ফেলা হয় এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তফা সাইফুল রোমেন, যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু ও নাজমুল হোসাইন। সেই সময় খালেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘মান্না ছাত্রের লাশ চাওয়ায় ছাত্র প্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারিয়েছেন, তাই তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে।’
পুনরায় নাম লেখার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিগত প্রশাসনের পরোক্ষ মদদে আমার নামটি মুছে ফেলা হয়েছিল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বিষয়কে তারা মুছে ফেলতে চায়। সেটা তারা পারেনি, আজ সত্যটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি খুবই খুশি হয়েছি।
চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. জাহিদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি বিষয়টি আমরা অবগত হওয়ার পরপরই নামটি পুনরায় লিখে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের চাকসু নির্বাচনে জাসদ ছাত্রলীগের প্রার্থী হয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মাহমুদুর রহমান মান্না। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ছাত্ররাজনীতিতেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৭৯ সালে জাসদ ছাত্রলীগ এবং ১৯৮০ সালে বাসদ ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দু’বারের জন্য ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়ে বিরল রেকর্ড গড়েন তিনি। ডাকসুর ইতিহাসে একমাত্র দু’বারের ভিপিও তিনি।