সচিবালয়ে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০১:৪৩ পিএম

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থিত সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে অবস্থান নিয়ে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বক্তব্য দিচ্ছেন। এখান থেকে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।
এর আগে, রোববার সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম।
এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিচ থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন কর্মচারীরা। বিপুল সংখ্যক নন ক্যাডার কর্মকর্তা কর্মচারী এতে যোগদান করেন। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কর্মচারীরা সচিবালয়ের বিভিন্ন লেন প্রদক্ষিণ করেন। ঈদুল আজহার পর থেকে ৬ষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ সময় তারা বলেন ‘অবৈধ কালো আইন মানি না মানব না, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে, আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ‘ফ্যাসিবাদী কালো আইন মানি না মানব না, আপস না লড়াই, লড়াই লড়াই’ ‘সারা বাংলার কর্মচারী এক হও লড়াই করো’ সহ নানা স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে ১১ নম্বর ভবন বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিচে অবস্থান নিয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মবিরতির ২ ঘণ্টা কর্মচারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
সোমবারের কর্মবিরতিতে সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান কর্মচারী নেতারা। চাকরি অধ্যাদেশ প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের দপ্তরের সামনে অবস্থান করার কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে বলে জানান তারা। কর্মচারী নেতা নূরুল ইসলাম বলেন, শুনেছি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করা হবে। আমরা কোনো ধরনের সংশোধন মানব না। এই কালো আইন বাতিল করতে হবে।
চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুত করার বিধান রেখে ২৫ মে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তার আগ থেকেই এই অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ জারির পর তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের পর উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেন।
চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ভূমি সচিবের নেতৃত্বে কয়েকজন সচিব কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানান। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সচিব তা প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এই অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় ৪ জুন আইন উপদেষ্টাকে প্রধান করে একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি দুটি সভা করলেও এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি বলে জানা গেছে।