Logo
Logo
×

জাতীয়

ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে সাত দিনের আল্টিমেটাম ঢাবি প্রো-ভিসিকে

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১২:২১ এএম

ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে সাত দিনের আল্টিমেটাম ঢাবি প্রো-ভিসিকে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব ও ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের’ পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল’। তারা সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, এর মধ্যে তিনি ভুল স্বীকার করে ব্যবস্থা না নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে জানানো হবে।

রোববার (২২ জুন) রাত ৯টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে প্রো-ভিসির কার্যালয়ে সাদা দলের শিক্ষকরা বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা এসব অভিযোগ তোলেন এবং জবাব চান। এ সময় প্রো-ভিসি ড. মামুনের সঙ্গে সাদা দলের কয়েকজন শিক্ষকের বাকবিতণ্ডাও হয়।

বৈঠক শেষে সাদা দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ছাত্রলীগপন্থী বিতর্কিত নেতা-কর্মীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদিয়া আফরিন এনিকে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক ছাত্রলীগ কর্মী নকল করে ধরা পড়ার পরও তাকেও শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করা হয়েছে।’

তারা আরও অভিযোগ করেন, ‘ভুয়া ভর্তির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত নীল দলের এক শিক্ষককে বিদেশ সফরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নীল দলের নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক, বিতর্কিত শিক্ষকদের রিসার্চ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান এবং সাত কলেজ ইস্যুতে অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডেও নীল দলের শিক্ষক রাখা হয়েছে।’

ঢাবি সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার বলেন, ‘প্রো-উপাচার্য ড. মামুন আমাদের কিছু প্রশ্নের জবাব দিলেও অনেক কিছু এড়িয়ে গেছেন। সাদা দলের অভিযোগের ভিত্তিতে একজন নকল করা ছাত্রীর নিয়োগ আটকানো হয়েছে। আমরা ওনাকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি বিষয়গুলো সংশোধনের জন্য। তিনি সাদা দলের অনেক শিক্ষকের ওপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওনার অনেক ব্যাখ্যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। ‘‘মেধা’’ ও ‘‘স্বচ্ছতা’’র নামে যদি ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়, তা কোনোভাবেই মানা যায় না। আমরা আশা করি, সহকর্মী হিসেবে উনি ভুলগুলো স্বীকার করে সংশোধন করবেন। উনি আমাদের সঙ্গে বসে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে ও নিয়ম মেনেই হয়েছে। প্রার্থীর মেধা, দক্ষতা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সততা যাচাই করা হয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের দোসর ছিলেন কি না, সেটাও জানার চেষ্টা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাদিয়া আফরিন ছাত্রলীগে ছিলেন কিনা সেটা আমি আজ সাদা দলের কাছ থেকেই প্রথম শুনেছি। নকলের অভিযোগের পর আমি বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে বলেছি বিভাগীয় সভা ডেকে বিষয়টি যাচাই করতে। তিনি জানান, কোনো প্রমাণ মেলেনি। পরীক্ষার কন্ট্রোলার অফিসও তদন্ত করে বলেছে, কোনো নকলের প্রমাণ নেই। সিলেকশন বোর্ডও এমন কিছু পায়নি।’

প্রো-ভিসি ড. মামুন বলেন, ‘আমি চেয়েছি প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ হয়। আগের স্বৈরাচার সরকারের নিয়ম বদলানো দরকার। তারা বলছে আমি কেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করিনি। ব্যক্তিগতভাবে কেউ সুপারিশ করলে আমি সেটা মানি না। তবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমি সেটা সিন্ডিকেটে তুলব।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার