Logo
Logo
×

জাতীয়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০৩:৩৪ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের
শর্তসাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) কর্তৃপক্ষের দেওয়া সাম্প্রতিক নোটিশে শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবির প্রতিফলন ঘটেনি বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরতরা।

তাদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি ছিল ‘বিনা শর্তে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার’, অথচ নোটিশে বিভ্রান্তিকর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে এবং কিছু শিক্ষার্থীকে রানিং সেমিস্টারসহ দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে—যা অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত।

শনিবার (২১ জুন) দিবাগত রাতে শিক্ষার্থীদের দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রীয়া জানানো হয়েছে। তারা জানান, এই নোটিশ তারা প্রত্যাখ্যান করছেন। একইসঙ্গে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরাও এই সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন না।

শিক্ষার্থীদের দাবি, কর্তৃপক্ষের প্রজ্ঞাপন বাস্তবিক অর্থে আন্দোলনের মূল দাবিকে পাশ কাটিয়ে গেছে। তাদের ভাষায়, ‘আমাদের দাবি ছিল বিনা শর্তে প্রত্যাহার, কিন্তু কর্তৃপক্ষ শর্ত আরোপ করে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে এবং বিভ্রান্তিকর বার্তা দিচ্ছে।’

তবে শিক্ষার্থীরা এখনো আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন। তারা জানান, আগামীকাল (রোববার) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর অংশ এবং অযৌক্তিক শাস্তির বিষয়গুলো সমাধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হবে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক সমাধান। কিন্তু তা না হলে পরশু সোমবার থেকে আবারও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।
এ প্রসঙ্গে এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাইনি।

এর আগে, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শৃঙ্খলা কমিটি স্থায়ী বহিষ্কারাদেশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন পুনরায় পর্যালোচনা করে সব স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. জুলফিকার রহমানের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ এখন থেকে ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে ‘সাসপেন্ডেড এক্সপালশন’ বা ‘স্থগিত বহিষ্কারাদেশ’ বহাল থাকবে। এর মানে হলো, তারা বর্তমান স্প্রিং ২০২৫ সেমিস্টার থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন, তবে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
অন্যদিকে, কিছু শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য (স্প্রিং ২০২৫ এবং সামার ২০২৫) বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা আগামী ফল ২০২৫ সেমিস্টার থেকে পুনরায় ক্লাসে ফিরতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও তাদের বিরুদ্ধে সাসপেন্ডেড এক্সপালশন বহাল থাকবে, অর্থাৎ ভবিষ্যতে আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা খুব শিগগিরই তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইমেইলে ডিসিপ্লিনারি কমিটির এই সিদ্ধান্ত-সংক্রান্ত নোটিশ পেয়ে যাবেন। শৃঙ্খলা কমিটি শিক্ষার্থীদের আবেদন পুনর্বিবেচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলেও জানানো হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে একাধিক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়, যা নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা ও আন্দোলনের সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ আজ নতুন বাজারে সড়ক অবরোধের পর নতুন করে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার