Logo
Logo
×

জাতীয়

শূন্যে নেমে এসেছে গুঁড়া হলুদে ‘সিসার’ উপস্থিতি: আইসিডিডিআরবি

Icon

জাগো বাংলা ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম

শূন্যে নেমে এসেছে গুঁড়া হলুদে ‘সিসার’ উপস্থিতি: আইসিডিডিআরবি
সরকারের লেড ক্রোমেট আমদানি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গুঁড়া হলুদে সিসার উপস্থিতি ২৭ শতাংশ থেকে একেবারে শূন্যের নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। প্রতিষ্ঠানটির এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর আইসিডিডিআরবির’তে এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ওয়াশ ও আইসিডিডিআরবি আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুল ধরা হয়। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ওয়াশ প্রোগ্রামের প্রধান ও প্রকল্প সমন্বয়ক ড. মাহবুবুর রহমান গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন।

ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ শিশু সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত। এর একটি বড় উৎস হিসেবে গুঁড়া হলুদে থাকা লেড ক্রোমেটকে চিহ্নিত করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, গুঁড়া হলুদে সিসার উপস্থিতি একেবারে কমে গেছে।

তিনি বলেন, সিসা নিয়ে আরও বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনা দরকার। সেজন্য বাতাস, পানি এবং মাটি থেকে বিষাক্ত দূষণ দূর করা, লেড-এসিড ব্যাটারির পুনর্ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এছাড়া বাজার থেকে সিসাযুক্ত পণ্য সরানো, শিল্প ও যানবাহনের সিসা নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা, ভোক্তা পণ্যে সিসামুক্ত মান নিশ্চিত করা এবং মসলা ও খাদ্য পণ্যের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।

প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় আইসিডিডিআরবির গবেষণা নিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, প্লাস্টিকের বৈশ্বিক উৎপাদন ২০০৪ সাল থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৪৩ কোটি মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। আইসিডিডিআরবির সুপারিশ হলো- কমিউনিটি পর্যায়ে বর্জ্য সংগ্রহ ও আলাদা করার সুসংগঠিত করতে হবে। শিল্পের জন্য পরিবেশবান্ধব মোড়ক ব্যবহার এবং সঠিক পরিস্রাবণ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এছাড়া নীতিগত পর্যায়ে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা ও পরিবেশকর্মীসহ তিন শতাধিক অংশগ্রহণকারী পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষণাভিত্তিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

এসময় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ ও সমাধানগুলোকে ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেন প্রতিযোগীরা। আয়োজকরা জানান, প্রতিযোগিতায় এক হাজার ১০০টিরও বেশি ছবি জমা পড়েছিল। অংশগ্রহণকারীরা স্মার্টফোন বা পেশাদার ক্যামেরা ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব গল্প ও পরিবেশ ভাবনা তুলে ধরেছিলেন।
এ ছবিগুলোর মধ্য থেকে সেরা ১০টি ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পায়। এবং বিচারকদের রায়ে শীর্ষ তিনজন ফটোগ্রাফার মো. আল-আমিন ইসলাম, মো. শাজাহান, এবং কাজী আরিফুজ্জামানকে পুরস্কৃত করা হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার