জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নির্মিত হবে ‘গণমিনার’

জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’-এ সংঘটিত গণপ্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের স্মরণে সর্বস্তরের নাগরিকদের অংশগ্রহণে গণমিনার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’। গণমিনারের স্থান হিসেবে বীর উত্তম মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান ও বিজয় সরণির মধ্যবর্তী সবুজ চত্বরকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, ৫ আগস্টের জয়ের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ মুক্তির আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হয়েছে। এই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ১৪০০ জন এবং আহত হয়েছেন হাজার হাজার জন। তাদের স্মরণে নির্মিত হবে গণমিনার। গণমিনার বাস্তবায়নে গণমানুষের সম্পৃক্ততার লক্ষ্যে গণচাঁদার সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণচাঁদা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। চূড়ান্তভাবে কাজটা কবে শেষ করা হবে এটা এখনই বলা সম্ভব না। আমাদের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আমরা একটা ভিজিবল রূপায়ন দেখতে চাইছি ৫ আগস্ট। তার পরও এর কাজ চলতে থাকবে।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও স্থপতি কামার আহমাদ সাইমন বলেন, আমাদের এ পরিকল্পনা অনেকদিন ধরে চলছে। আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করছিলাম কীভাবে কি করা যায়। আমরা সহজেই আমাদের ইতিহাস ভুলে যাই। লাখ লাখ মানুষ জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করল, এই যে হাজার হাজার মানুষ জীবন দিলো, তাদের যেন ভুলে না যাই সেজন্যই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এখন কথা হচ্ছে কীভাবে মনে রাখব। একটা হতে পারে জাদুঘরের মাধ্যমে। এর বাইরে আরেকটা উপায় হচ্ছে মিনার।
তিনি বলেন, মিনার আর জাদুঘরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মিনার হচ্ছে পাবলিক প্লেস। আর জাদুঘর একটা বন্ধ জিনিস। মিনার সাধারণত সম্মান প্রদর্শন করার জায়গা। আর জাদুঘর হচ্ছে কোনো কিছু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জায়গা।
কামার আহমাদ সাইমন বলেন, মিনারটিও দুটি উপাদানে করা যায়। একটি হচ্ছে দেয়াল, আরেকটি হচ্ছে এপিটাফ– ১৪০০ শহীদের নাম, জন্ম ও মৃত্যুর সময়, পেশা, কোথায় শহীদ হয়েছেন সেই তথ্যগুলো দিয়ে আমরা ফলক তৈরি করতে পারি।
তিনি বলেন, এছাড়াও গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বেশ কিছু পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যেমন– ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গণমিনার নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ, অর্থ ও প্রকৌশল সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে; জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৪০০ শহীদের নাম ও পরিচিতি খোদাই করে প্রস্তাবিত গণমিনারে সংরক্ষণ করা হবে; এই ভূখণ্ডে গত ২৫০ বছরের প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের ইতিহাস চিত্র ও খোদাইয়ের মাধ্যমে গণমিনারে তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে; এই ‘গণমিনার’ হবে এমন এক স্মরণস্থল, যা রাজনৈতিক বিভাজন অতিক্রম করে সব মত ও পথের মানুষের সম্মিলিত গণউদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, ৫ আগস্টের জয়ের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ মুক্তির আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হয়েছে। এই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ১৪০০ জন এবং আহত হয়েছেন হাজার হাজার জন। তাদের স্মরণে নির্মিত হবে গণমিনার। গণমিনার বাস্তবায়নে গণমানুষের সম্পৃক্ততার লক্ষ্যে গণচাঁদার সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণচাঁদা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। চূড়ান্তভাবে কাজটা কবে শেষ করা হবে এটা এখনই বলা সম্ভব না। আমাদের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আমরা একটা ভিজিবল রূপায়ন দেখতে চাইছি ৫ আগস্ট। তার পরও এর কাজ চলতে থাকবে।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও স্থপতি কামার আহমাদ সাইমন বলেন, আমাদের এ পরিকল্পনা অনেকদিন ধরে চলছে। আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করছিলাম কীভাবে কি করা যায়। আমরা সহজেই আমাদের ইতিহাস ভুলে যাই। লাখ লাখ মানুষ জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করল, এই যে হাজার হাজার মানুষ জীবন দিলো, তাদের যেন ভুলে না যাই সেজন্যই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এখন কথা হচ্ছে কীভাবে মনে রাখব। একটা হতে পারে জাদুঘরের মাধ্যমে। এর বাইরে আরেকটা উপায় হচ্ছে মিনার।
তিনি বলেন, মিনার আর জাদুঘরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মিনার হচ্ছে পাবলিক প্লেস। আর জাদুঘর একটা বন্ধ জিনিস। মিনার সাধারণত সম্মান প্রদর্শন করার জায়গা। আর জাদুঘর হচ্ছে কোনো কিছু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জায়গা।
কামার আহমাদ সাইমন বলেন, মিনারটিও দুটি উপাদানে করা যায়। একটি হচ্ছে দেয়াল, আরেকটি হচ্ছে এপিটাফ– ১৪০০ শহীদের নাম, জন্ম ও মৃত্যুর সময়, পেশা, কোথায় শহীদ হয়েছেন সেই তথ্যগুলো দিয়ে আমরা ফলক তৈরি করতে পারি।
তিনি বলেন, এছাড়াও গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বেশ কিছু পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যেমন– ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গণমিনার নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ, অর্থ ও প্রকৌশল সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে; জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৪০০ শহীদের নাম ও পরিচিতি খোদাই করে প্রস্তাবিত গণমিনারে সংরক্ষণ করা হবে; এই ভূখণ্ডে গত ২৫০ বছরের প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের ইতিহাস চিত্র ও খোদাইয়ের মাধ্যমে গণমিনারে তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে; এই ‘গণমিনার’ হবে এমন এক স্মরণস্থল, যা রাজনৈতিক বিভাজন অতিক্রম করে সব মত ও পথের মানুষের সম্মিলিত গণউদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হবে।