Logo
Logo
×

জাতীয়

৯০ বছরের বৃদ্ধাকে বাঁশ ঝাড় থেকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

Icon

জাগো বাংলা ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১২:৫৮ এএম

৯০ বছরের বৃদ্ধাকে বাঁশ ঝাড় থেকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

বগুড়ায় তিন সন্তানের ঘরে ঠাঁই হয়নি ৯০ বছরের বৃদ্ধা বিমলা রানীর। দুবেলা পেটপুরে খেতে পারেননি ছেলেদের ঘরে। বাড়ির কোণে বা বাঁশ ঝাড়ের নিচে আশ্রয় মিলেছে তার।

সেনা সদস্যরা টের পেয়ে তাকে সন্তানদের ঘরে তুলে দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় খাবার ও সহানুভূতি দেখিয়েছেন।

জানা গেছে, বিমলা রানী বগুড়া সদর উপজেলা বড় কুমিরা হিন্দুপাড়া গ্রামের মৃত হরিপদ চন্দ্রের স্ত্রী। এক সময় স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলেন বিমলা। স্বামী হরিপদ চন্দ্র মারা যাওয়ার পর থেকে বিমলা রানীর জীবনে দু:খ নেমে আসে।

বিমলার তিন ছেলের মধ্যে দুজন কাঠমিস্ত্রি ও অপরজন দর্জি। তিন ছেলে সচ্ছল না হলেও তারা বৃদ্ধা মা বিমলাকে দুবেলা খাওয়া ও আশ্রয় দেননি। বয়সের ভারে তিনি নুয়ে পড়েছেন। চোখে ঠিকমতো দেখেন না, কানেও কম শোনেন। ঠিকমতো চলাফেরার শক্তিও আগের মতো নেই।

বৃদ্ধা মাকে ভরণপোষণ ও দেখভাল করার ভয়ে ছেলেরা প্রতিদিন সকালে তাকে বাড়ি থেকে দূরে রেখে আসেন। দয়া করে প্রতিবেশীরা খাবার দিলে তিনি খান। সারাদিন তার ভাগ্যে খাবার জোটে না।

সর্বশেষ মেজো ছেলে লব চন্দ্র সোমবার রাতে মা বিমলাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এলাকাবাসীদের চাপে মাকে বাড়িতে নিয়ে গেলেও মঙ্গলবার সকালে আবারও বের করে দেন। ওইদিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিমলাকে কেউ খাবার দেননি। বাড়ির কাছে বাঁশ ঝাড়ে বসেছিলেন।

এদিকে সেনাবাহিনীর একটি দল লোকমুখে বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার বিকালে বগুড়া সদরের বড় কুমিড়া হিন্দুপাড়ায় যান। সেনা কর্মকর্তা বিমলা রানীর সঙ্গে এ অমানবিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ভুল স্বীকার করে বিমলাকে ঘরে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। এসব সেনা সদস্যরা বৃদ্ধাকে কিছু খাবার কিনে দেন। এ সময় লে. আল ফাহাদ ওই বৃদ্ধা বিমলা রানীর ছেলেদের সতর্ক করে দেন। নিজ জাতে তাকে খাওয়ান। এ ঘটনায় প্রতিবেশীরা সেনা সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সেনাবাহিনীর বগুড়া দর ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল ফাহাদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধার ছেলেরা ভুল স্বীকার করেছেন। তাদের আর্থিক সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতাও করা হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার