Logo
Logo
×

ইসলাম

যে কারণে এশার আগে ঘুমানো অপছন্দ করতেন বিশ্বনবী

Icon

জাগো বাংলা ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:১৭ এএম

যে কারণে এশার আগে ঘুমানো অপছন্দ করতেন বিশ্বনবী

ঘুম মানুষের ক্লান্তি-অবসাদ দূর করে। শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘুমের অবদান অসামান্য। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ ও নেয়ামত। মহৎ ইবাদতও বটে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমাদের নিদ্রাকে করেছি— ক্লান্তি দূরকারী।’ -(সুরা নাবা, আয়াত : ০৯)

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘তিনি রাতকে মানুষের প্রশান্তির উপায় হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।’ -(সুরা আনআম : ৯৬)

ঘুম মানুষের একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয় হলেও প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের ওপর আমল করে ঘুমালে তা ইবাদত তথা সওয়াবের কাজ হিসেবে গণ্য হবে।

হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় বিছানায় আসে এবং আল্লাহর জিকির করে শোয় এমনকি তার তন্দ্রা এসে পড়ে এবং রাতের যেকোনো সময় (ডানে-বামে) ফিরতে আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ কামনা করে, আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয় তাকে তা দান করেন।’-(তিরমিজি : ৩৫২৬)।

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। অনেক রাত না জেগে দ্রুত ঘুমানো মুস্তাহাব। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং নামাজের পর অহেতুক গল্প-গুজব করাকে খুব অপছন্দ করতেন।

তাড়াতাড়ি ঘুমানোকে উৎসাহিত করা হলেও এশার আগে ঘুমানোকে অপছন্দ করতেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। অর্থাৎ মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হয়ে এশার ওয়াক্ত শুরু হলেই ঘুমানো মাকরূহ। সহিহ বোখারি ও মুসলিমের বর্ণনায় আছে, হজরত আবু বারযা আল আসলামি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর কথাবার্তা বলাকে অপছন্দ করতেন। ’ –(সহিহ বোখারি: ৫৭৪)

হজরত আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে কখনো এশার আগে ঘুমাতে ও এশার পর গল্পগুজব করতে দেখিনি। এশার পর হয়তো জিকিরে মশগুল থাকতেন, নয়তো ঘুমিয়ে পড়তেন। এর দ্বারা সব অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

তিনি আরও বলেন, তিন ধরনের মানুষের জন্য রাত জাগার অনুমতি রয়েছে, বিয়ের রাতে নবদম্পতি, মুসাফির ও নফল নামাজ আদায়কারী। (মুসনাদে আবি ইয়ালা : ৪৮৭৯)

মাগরিবের পর ঘুমানো মাকরূহ হওয়ার কারণ আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘কেননা এশার পূর্বে ঘুমালে মূল ওয়াক্তই চলে যেতে পারে অথবা উত্তম ওয়াক্ত ছুটে যেতে পারে। ’ -(ফাতহুল বারি: ৫৭৪)

তবে মাগরিবের পর ঘুমানো কুলক্ষণযুক্ত কাজ কিংবা দরিদ্রতার লক্ষণ- এমন কথা ভুল ও বাতিল।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার