ইসলামে উপহার দেওয়া অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ— এটি পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি করে, সম্পর্ককে মজবুত করে এবং ভুল-বিভেদ দূর করে। তাই উপহার শুধু হাত বদলানো কোনো বস্তু নয়; এটি হৃদয়ের দরজা খোলার একটি চাবি, যা মানুষকে মানুষের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে উপহার গ্রহণ করেছেন এবং অন্যকেও উপহার প্রদানে উৎসাহিত করেছেন। উপহার আদান-প্রদান রাসুল (সা.)-এর সুন্নতের অংশ। জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীও রাসুল (সা.)-এর এই সুন্নতটির ওপর আমল করতে উৎসাহিত করেছেন। এ নিয়ে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথাগুলো তুলে ধরেন।
তিনি পোস্টে লিখেছেন, উপহার— দূরত্ব কমিয়ে ভালোবাসার বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। প্রগাঢ় করে হৃদ্যতা। পরস্পর উপহার বিনিময়ের এই নববী সুন্নাহ ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র।
পাশাপাশি তিনি রাসুল (সা.)-এর হাদিসের একটি বাণী উদ্ধৃত করেছেন। যেখানে বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
‘তোমরা একে-অপরকে হাদিয়া (উপহার) দাও এবং ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হও।’ (আল আদাবুল মুফরাদ ৫৯৭)
অনেকেই এই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন— ‘উপহারে ভালবাসা বাড়ে তাই আসুন একে অন্যকে উপহার দিই।’
কেউ কেউ লিখেছেন, ‘একটি মাত্র উপহার, শত্রুদের মধ্যেও বন্ধুত্ব তৈরি করে দিতে পারে!’
আরেকজন লিখেছেন, ‘ইচ্ছেমত আমার আপনজনদের উপহার দিতে পারি না সেই এবিলিটি আমার নেই। যা পারি তাই দিয়ে থাকি তবে আমার রব তো অভাবমুক্ত কারো মুখাপেক্ষী নন। তার কাছে ইচ্ছেমত মনভরে আমার আপনজন, আত্মীয় স্বজনদের জন্য সব সময় এই দোয়া করি, তিনি আমার আপনজনের দুনিয়াবি সমস্ত ফেতনা থেকে হেফাজত করেন, উত্তম হায়াত দান করেন, উত্তম রিজিক দান করেন, উত্তম ইবাদত করার জন্য সাহায্য করেন, যা তাদের জন্য কল্যাণকর তা যেন দান করেন, আর যা অল্যাণকর তা থেকে হেফাজত করেন।’