মুসলিম নারীরা কয়েকটি কাজ করেই সহজে জান্নাতের অধিবাসী হতে পারেন। মুসলিম নারীদের জন্য সতীসাধ্বী হওয়া আবশ্যক।
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সতী নারীর চারটি গুণের কথা বর্ণনা করেছেন।
আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন, কোনো মুমিন ব্যক্তি আল্লাহভীতির পর উত্তম যা লাভ করে, তা হলো পুণ্যময়ী স্ত্রী। স্বামী তাকে কোনো নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে। সে তার দিকে তাকালে (তার হাস্যোজ্জ্বল চেহারা ও প্রফুল্লতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৮৫৭)
এসব চারটি গুণ অর্জন করে, এই চারটি কাজ জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করা আবশ্যক।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোনো নারী যদি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমজানের রোজা রাখে, গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে এবং তার স্বামীর একান্ত অনুগত হয়, তবে তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ৩২৫৪)
প্রিয় মা ও বোনেরা! সামান্য কয়েকটি সহজ আমল করেই আপনারা চিরস্থায়ী জান্নাতের বাসিন্দা হতে পারবেন। তাই অলসতা কিংবা অবাধ্যতা নয়, বরং সময় কাজে লাগিয়ে জান্নাত অর্জন করার সুযোগ এখনই।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন।