Logo
Logo
×

ইসলাম

রাসুলের (সা.) নাম মুহাম্মাদ রাখা হয়েছিল যে কারণে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১০ পিএম

রাসুলের (সা.) নাম মুহাম্মাদ রাখা হয়েছিল যে কারণে

আল্লাহর বিশেষ হিকমত ও প্রজ্ঞায় নবীজির (সা.) নাম রাখা হয় ‘মুহাম্মাদ’। নামের অর্থ অধিক প্রশংসিত, যা তার প্রশংসনীয় চরিত্র এবং নবুয়তের পরিচায়ক। 

এই নামের মাধ্যমেই যেন ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে, তিনি আল্লাহ এবং সমগ্র সৃষ্টির কাছে প্রশংসিত হবেন এবং তার মহানুভবতা চিরকাল স্মরণীয় থাকবে। এটি ছিল তার নবুয়তের ভবিষ্যৎ বাণীরই একটি অংশ।

কেন এই নাম রাখা হলো?

রাসুলের (সা.) জন্মের সপ্তম দিনে দাদা আব্দুল মুত্তালিব আকিকা করেন। কুরাইশ বংশের সকল সদস্যকে সেই ভোজনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সকলের উপস্থিতিতে প্রিয় নাতির নাম রাখেন ‘মুহাম্মাদ’, যার অর্থ প্রসংশিত। এই নাম শুনে উপস্থিত সবাই আশ্চর্য হয়ে যায়। কেননা নামটি তাদের কাছে নতুন ছিল। 

তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, কেন তিনি এই নাম রাখলেন। আব্দুল মুত্তালিব বললেন, আমি চাই আমার নাতি আসমানে ও জমিনে প্রশংসিত হোক, এমনকি স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাও তার প্রশংসা করবেন। মূলত এই নাম আল্লাহর পক্ষ থেকে আব্দুল মুত্তালিবের অন্তরে ইলহাম হয়েছে। তাই তিনি এই নাম রাখতে বেশ আগ্রহী হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন
একবার আবদুল মুত্তালিব স্বপ্নে দেখলেন, তার পিঠ থেকে রুপার একটি শেকল বের হয়েছে, এর এক মাথা আসমানে, আরেক মাথা জমিনে। একটি প্রান্ত পূর্বে, অন্য প্রান্ত পশ্চিমে। এরপর শিকলের অংশগুলো ফিরে আসে এবং একটি গাছের মত দেখা যায়, সেই গাছের প্রতিটি পাতায় জ্যোতি চমকাচ্ছিল এবং পূর্ব ও পশ্চিমের সকল অধিবাসী সেই গাছের সাথে লেগে ছিল। 

স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে স্বপ্ন বিশারদগণ তাকে জানান যে, তার বংশে এমন একজন সন্তান জন্ম নেবে, যার অনুসারী হবে গোটা দুনিয়া এবং তিনি আসমান ও জমিনে প্রশংসিত হবেন। এজন্যই রাসুল (সা.) এর নাম মুহাম্মাদ রাখা হয়েছে। (আস-সিরাতুন নাবাবিয়াহ, ড. মুহাম্মাদ আবু শাহাবা)

রাসুলের (সা.) জন্মের সময় আমেনা (রা.) এক অলৌকিক আলো দেখেছিলেন। সেই আলোয় শামের বড় বড় প্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে গিয়েছিল। আমেনা (রা.) তার শ্বশুর আব্দুল মুত্তালিবকে এ কথা জানালে তিনি বুঝতে পারেন যে তার নাতি শেষ নবী হবেন। 

তিনি আরও বুঝতে পারেন যে, এই শিশু সারা বিশ্বে প্রশংসিত হবেন, তাই তিনি তার নাম রাখেন মুহাম্মাদ। (মুসনাদে আহমাদের ২২২৬১ নং হাদিসে ঘটনার কিঞ্চিত উল্লেখ আছে)

এই নাম আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত ছিল। ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহ.) বলেন, আমি যাবুর কিতাবের কয়েকটি নুসখায় রাসুল (সা.)-এর নামে শেষ নবীর সুসংবাদ দেখেছি। (আল-জাওয়াব আস-সাহিহ ৩/৫০)

আসমানি কিতাব সম্পর্কে পূর্ব থেকেই অবগত কয়েকজন পণ্ডিত ব্যক্তি এই আশায় তাদের সন্তানদের নাম ‘মুহাম্মাদ’ রেখেছিলেন যে, তাদের সন্তানই হয়তো শেষ নবী হবেন। যার উল্লেখ সিরাত ইবনে হিশামের টীকায় পাওয়া যায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার