প্রস্রাবের পর শুধু টিস্যু ব্যবহার করলে নামাজ হবে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২১ পিএম

প্রশ্ন: প্রস্রাব করে কেউ যদি পানি ব্যবহার না করে, শুধু টিস্যু ব্যবহার করে, তাহলে কি তার নামাজ হবে? অনেকে বলেন, পানি থাকলে পানি ব্যবহার করা জরুরি, পানি থাকার পরও পানি ব্যবহার না করলে তার অজু ও নামাজ হবে না।
উত্তর: প্রস্রাবের করে ভালোভাবে টিস্যু ব্যবহার করলেই পবিত্রতা অর্জিত হয়। টিস্যু ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করা জরুরি নয়। পানি থাকার পরও কেউ যদি শুধু টিস্যু ব্যবহার করে, পানি ব্যবহার না করে, তাহলেও তার অজু ও নামাজ শুদ্ধ হবে।
তবে প্রস্রাবের পর টিস্যু ব্যবহারের পাশাপাশি সুযোগ থাকলে পানিও ব্যবহার করা উত্তম। কারণ এতে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করা হয়। আল্লাহ তাআলা অধিক পবিত্রতা পছন্দ করেন।
মহানবীর (সা.) যুগে কুবা এলাকার মানুষদের অভ্যাস ছিল তারা প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার পর ঢিলা-কুলুখের পাশাপাশি পানিও ব্যবহার করতেন। পবিত্র কোরআনে কুবাবাসী সাহাবিদের প্রশংসা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, সেখানে (কুবায়) এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালবাসে। আর আল্লাহ উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন। (সুরা তওবা: ১০৮)
আবু আইয়ুব রা., জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) ও আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, উল্লিখিত আয়াতটি নাজিল হলে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মদিনাবাসী সাহাবিদের বললেন, আল্লাহ তাআলা আপনাদের উত্তম পবিত্রতার প্রশংসা করেছেন। আপনাদের ওই পবিত্রতা কী? তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা নামাজের জন্য অজু করি, গোসল ফরজ হলে গোসল করি।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এর সাথে কি আরও কোনো বিষয় আছে? তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আর কোনো বিষয় নেই, তবে শৌচাগার থেকে বের হলে আমরা পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করতে পছন্দ করি। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটাই সেই পবিত্রতা (যে কারণে আল্লাহ আপনাদের প্রসংশা করেছেন)। সুতরাং এই অভ্যাসকে আপনারা গুরুত্বের সঙ্গে ধরে রাখুন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৫৫)
উত্তর: প্রস্রাবের করে ভালোভাবে টিস্যু ব্যবহার করলেই পবিত্রতা অর্জিত হয়। টিস্যু ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করা জরুরি নয়। পানি থাকার পরও কেউ যদি শুধু টিস্যু ব্যবহার করে, পানি ব্যবহার না করে, তাহলেও তার অজু ও নামাজ শুদ্ধ হবে।
তবে প্রস্রাবের পর টিস্যু ব্যবহারের পাশাপাশি সুযোগ থাকলে পানিও ব্যবহার করা উত্তম। কারণ এতে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করা হয়। আল্লাহ তাআলা অধিক পবিত্রতা পছন্দ করেন।
মহানবীর (সা.) যুগে কুবা এলাকার মানুষদের অভ্যাস ছিল তারা প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার পর ঢিলা-কুলুখের পাশাপাশি পানিও ব্যবহার করতেন। পবিত্র কোরআনে কুবাবাসী সাহাবিদের প্রশংসা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, সেখানে (কুবায়) এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালবাসে। আর আল্লাহ উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন। (সুরা তওবা: ১০৮)
আবু আইয়ুব রা., জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) ও আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, উল্লিখিত আয়াতটি নাজিল হলে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মদিনাবাসী সাহাবিদের বললেন, আল্লাহ তাআলা আপনাদের উত্তম পবিত্রতার প্রশংসা করেছেন। আপনাদের ওই পবিত্রতা কী? তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা নামাজের জন্য অজু করি, গোসল ফরজ হলে গোসল করি।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এর সাথে কি আরও কোনো বিষয় আছে? তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আর কোনো বিষয় নেই, তবে শৌচাগার থেকে বের হলে আমরা পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করতে পছন্দ করি। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটাই সেই পবিত্রতা (যে কারণে আল্লাহ আপনাদের প্রসংশা করেছেন)। সুতরাং এই অভ্যাসকে আপনারা গুরুত্বের সঙ্গে ধরে রাখুন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৫৫)