
ইসলামে যৌনসঙ্গমসহ কিছু কারণে গোসল ফরজ হয় এবং নির্দিষ্ট নিয়মে গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। গোসল ফরজ অবস্থায় নামাজ আদায় করা, মসজিদে প্রবেশ অবস্থান করা, কোরআন স্পর্শ করা, কোরআন তিলাওয়াত করা ইত্যাদি আমলগুলো নিষিদ্ধ থাকে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাজে দাঁড়াতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা ধৌত কর। আর যদি তোমরা গোসল ফরজ অবস্থায় থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। (সুরা মায়েদা: ৬)
গোসলের ফরজ তিনটি
১. কুলি করা।
২. নাকে পানি দেওয়া।
৩. পুরো শরীর ভালোভাবে ধৌত করা যেন শরীরের বাহ্যিক সব জায়গায় পানি পৌঁছে যায়।
এই তিনটি ফরজ আদায় করলেই গোসল হয়ে যায় এবং নামাজসহ অন্যান্য নেক আমলগুলো করা জায়েজ হয়। তবে কেউ যদি গোসলের সুন্নতগুলো অনুসরণ করে ও দোয়া পড়ে, তাহলে সে সওয়াব লাভ করবে এবং তা সর্বোত্তম।
গোসলের সুন্নত নয়টি
১. গোসল শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ পাঠ করা।
২. পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করা।
৩. গোসলের শুরুতে উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধোয়া।
৪. শরীর বা পরিহিত পোশাকে নাপাকি লেগে থাকলে তা গোসলের পূর্বে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া।
৫. গোসল অর্থা পুরো শরীরে পানি ঢালার আগে অজু করে নেওয়া। গোসলের জায়গা যদি এত নিচু হয় যে পানি জমে যায়, তাহলে পা ছাড়া অজুর অন্যান্য অঙ্গগুলো ধুয়ে নেবে, পা গোসলের পর ধুবে।
৬. শরীরের বাহ্যিক সব জায়গায় তিনবার পানি পৌঁছানো।
৭. প্রথমে মাথায় পানি ঢালা এরপর ডান কাঁধে ও পরে বাম কাঁধে পানি ঢালা।
৮. পুরো শরীর ঘষামাজা করে ভালো করে ধোয়া।
৯. গোসলের সবগুলো কাজ একসঙ্গে সম্পন্ন করা, পৃথক পৃথকভাবে না করা। যেমন কেউ যদি গোসল ফরজ হওয়ার পর কোনো কারণে কুলি করে থাকে ও নাকে পানি দিয়ে থাকে, তাহলে তার কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়ার ফরজ আদায় হয়ে যায়। কিন্তু গোসলের সময় আবার কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া সুন্নত।
সুন্নত অনুযায়ী ফরজ গোসলের নিয়ত, নিয়ম ও দোয়া
গোসলের নিয়ত করুন। মনে মনে বলুন, ‘আমি অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করছি’।
‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়ুন।
দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করুন।
শরীরে বা পরিহিত পোশাকে অপবিত্রতা থাকলে তা ধুয়ে ফেলুন।
ভালো করে কুলি করে ও নাক পরিষ্কার করে নাকে পানি দিয়ে অজু করুন।
অজুর করার পর মাথায় এমনভাবে পানি ঢালুন যেন চুল ও দাড়ির গোড়ায় পানি পৌঁছে যায়।
প্রথম ডান কাঁধে পরে বাম কাঁধে পানি ঢেলে সমস্ত শরীর ধৌত করুন। তিনবার শরীরের বাহ্যিক সব জায়গায় পানি পৌঁছান।
গোসলের শেষে পায়ের আঙুলগুলো খিলাল করে ভালোভাবে পা ধৌত করুন।
যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়
১. পুরুষ অথবা নারী ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায় যে কোনো কারণে উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়।
২. স্বামী স্ত্রী শারীরিকভাবে মিলিত হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়। মিলন প্রাথমিক অবস্থায় থাকলেও বা বির্যপাত না হলেও গোসল ফরজ হয়ে যায়।
৩. নারীদের মাসিক বা হায়েজ শেষ হলে গোসল করা ফরজ।
৪. নারীদের নেফাস বা সন্তান জন্মদান পরবর্তী রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করা ফরজ।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাজে দাঁড়াতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা ধৌত কর। আর যদি তোমরা গোসল ফরজ অবস্থায় থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। (সুরা মায়েদা: ৬)
গোসলের ফরজ তিনটি
১. কুলি করা।
২. নাকে পানি দেওয়া।
৩. পুরো শরীর ভালোভাবে ধৌত করা যেন শরীরের বাহ্যিক সব জায়গায় পানি পৌঁছে যায়।
এই তিনটি ফরজ আদায় করলেই গোসল হয়ে যায় এবং নামাজসহ অন্যান্য নেক আমলগুলো করা জায়েজ হয়। তবে কেউ যদি গোসলের সুন্নতগুলো অনুসরণ করে ও দোয়া পড়ে, তাহলে সে সওয়াব লাভ করবে এবং তা সর্বোত্তম।
গোসলের সুন্নত নয়টি
১. গোসল শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ পাঠ করা।
২. পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করা।
৩. গোসলের শুরুতে উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধোয়া।
৪. শরীর বা পরিহিত পোশাকে নাপাকি লেগে থাকলে তা গোসলের পূর্বে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া।
৫. গোসল অর্থা পুরো শরীরে পানি ঢালার আগে অজু করে নেওয়া। গোসলের জায়গা যদি এত নিচু হয় যে পানি জমে যায়, তাহলে পা ছাড়া অজুর অন্যান্য অঙ্গগুলো ধুয়ে নেবে, পা গোসলের পর ধুবে।
৬. শরীরের বাহ্যিক সব জায়গায় তিনবার পানি পৌঁছানো।
৭. প্রথমে মাথায় পানি ঢালা এরপর ডান কাঁধে ও পরে বাম কাঁধে পানি ঢালা।
৮. পুরো শরীর ঘষামাজা করে ভালো করে ধোয়া।
৯. গোসলের সবগুলো কাজ একসঙ্গে সম্পন্ন করা, পৃথক পৃথকভাবে না করা। যেমন কেউ যদি গোসল ফরজ হওয়ার পর কোনো কারণে কুলি করে থাকে ও নাকে পানি দিয়ে থাকে, তাহলে তার কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়ার ফরজ আদায় হয়ে যায়। কিন্তু গোসলের সময় আবার কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া সুন্নত।
সুন্নত অনুযায়ী ফরজ গোসলের নিয়ত, নিয়ম ও দোয়া
গোসলের নিয়ত করুন। মনে মনে বলুন, ‘আমি অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করছি’।
‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়ুন।
দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করুন।
শরীরে বা পরিহিত পোশাকে অপবিত্রতা থাকলে তা ধুয়ে ফেলুন।
ভালো করে কুলি করে ও নাক পরিষ্কার করে নাকে পানি দিয়ে অজু করুন।
অজুর করার পর মাথায় এমনভাবে পানি ঢালুন যেন চুল ও দাড়ির গোড়ায় পানি পৌঁছে যায়।
প্রথম ডান কাঁধে পরে বাম কাঁধে পানি ঢেলে সমস্ত শরীর ধৌত করুন। তিনবার শরীরের বাহ্যিক সব জায়গায় পানি পৌঁছান।
গোসলের শেষে পায়ের আঙুলগুলো খিলাল করে ভালোভাবে পা ধৌত করুন।
যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়
১. পুরুষ অথবা নারী ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায় যে কোনো কারণে উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়।
২. স্বামী স্ত্রী শারীরিকভাবে মিলিত হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়। মিলন প্রাথমিক অবস্থায় থাকলেও বা বির্যপাত না হলেও গোসল ফরজ হয়ে যায়।
৩. নারীদের মাসিক বা হায়েজ শেষ হলে গোসল করা ফরজ।
৪. নারীদের নেফাস বা সন্তান জন্মদান পরবর্তী রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করা ফরজ।