
হজ-ওমরাহর ইহরামে পুরুষদের যেমন দুটি সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করতে হয়, নারীদের এ রকম বিশেষ ধরনের কোনো পোশাক নেই। নারীরা হজ-ওমরাহর ইহরামে নিজেদের স্বাভাবিক পোশাক পরিধান করবেন। সেলাই করা বোরকা, সেলাই করা কামিজ ও সালোয়ার পরতে পারবেন। পায়ে জুতা ও সেলাই করা মোজাও পরতে পারবেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, নারীরা ইহরাম অবস্থায় নিজেদের রুচি অনুযায়ী পোশাক পরতে পারবেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ১৪৪৩)
তবে ইহরাম অবস্থায় নারীরা নেকাব বা হাতমোজা পরবেন না। ইহরাম অবস্থায় নারীদের মুখমণ্ডল ও হাতের কব্জি খোলা রাখতে হয়।
ইহরাম অবস্থায় নারীদের বোরকা বা পোশাকের রঙ সাদা হওয়া জরুরি নয়। স্বাভাবিক সময়ের মতো কালো বা অন্য যে কোনো রঙের বোরকা বা পোশাক তারা পরিধান করতে পারেন।
অন্যান্য সময়ের মতই ইহরামের সময় নারীদের পোশাক নির্বাচনে পর্দা রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়া উচিত। এমন পোশাক পরিধান করা উচিত যা দিয়ে সতর ভালোভাবে আবৃত হয়, শারীরিক সৌন্দর্য ও আবেদনময়তা ঢেকে থাকে। শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে এমন আঁট-সাঁট পোশাক বা বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করে এমন উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরিধান না করা উচিত।
ইহরাম বাঁধার আগে পুরুষদের মতো নারীরাও নখ কাটবেন, অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করবেন এবং গোসল করে নেবেন। ইহরাম বাঁধার আগে মাসিক চলছে এমন নারীদেরও গোসল করে নেওয়া মুস্তাহাব। গোসল করা সম্ভব না হলে অজু করবেন। তারপর ওপরে বর্ণিত নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে পোশাক পরিধান করবেন। হজ বা ওমরাহর নিয়ত করবেন এবং তালবিয়াহ পাঠ করবেন।
হজ-ওমরাহর নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ করলেই নারীরা মুহরিম বলে গণ্য হবেন। এরপর ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
ইহরাম অবস্থায় নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ আটটি কাজ
১. মাথার চুল, গোঁফ, দাড়ি, শরীরের অন্যান্য জায়গার লোম মুণ্ডন করা, ছোট করা কিংবা উঠিয়ে ফেলা।
২. ইহরামের অবস্থায় নখ কাটা বা নখ উঠিয়ে ফেলা। তবে কোনো নখ ভেঙ্গে গেলে কষ্টদায়ক অংশটুকু কেটে ফেলে দিলে কোনো অসুবিধা নেই।
৩. ইহরাম অবস্থায় ইহরামের কাপড়ে, শরীরে অথবা শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে এমন কিছুতে সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৪. বিয়ে করা, বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া বা অভিভাবক বা উকিল হয়ে কাউকে বিয়ে দেওয়া।
৫. যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা কিংবা জড়িয়ে ধরা। যৌন আবেদন সৃষ্টি করে এমন কথাবার্তা বলা বা রসিকতা করা।
৬. যৌন মিলন করা।
৭. নিজে শিকার করা বা কাউকে শিকার করতে সহযোগিতা করা।
৮. ক্ষতিকর নয় এমন কীট-পতঙ্গ, পশু-পাখি মারা।
ইহরাম অবস্থায় শুধু পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ যেসব কাজ
১. মাথা ঢাকা। পুরুষের জন্য ইহরাম অবস্থায় এমন কিছু দিয়ে মাথা ঢাকা নিষিদ্ধ যা মাথার সাথে লেগে থাকে যেমন পাগড়ি, বিভিন্ন প্রকারের টুপি ও রুমাল ইত্যাদি। তবে এমন কিছু দিয়ে মাথা ঢাকা যায়, যা মাথার সাথে লেগে থাকে না যেমন, ছাতা, গাড়ির ছাদ, তাঁবু ইত্যাদি।
২. সেলাই করা কাপড় পরা। পুরুষদের জন্য ইহরাম অবস্থায় সেলাই করা কাপড় পরা নিষিদ্ধ। সেলাইকৃত কাপড়ের অর্থ হলো, এমন কাপড় যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের অবয়ব অনুযায়ী তৈরি করা হয় যেমন জুব্বা, পাঞ্জাবি, পাজামা, প্যান্ট, গেঞ্জি, আণ্ডারওয়্যার, মোজা, হাত বা পায়ের মোজা।
৩. পায়ের পাতার ওপরের অংশ ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
ইহরাম অবস্থায় নারীর জন্য নিষিদ্ধ দুটি কাজ
ইহরাম অবস্থায় নারীর জন্য সেলাই করা পোশাক, মাথা ঢাকা ইত্যাদি বৈধ হলেও দুটি কাজ নিষিদ্ধ:
১. হাত মোজা পরা।
২. নেকাব পরিধান করা। তবে পরপুরুষ সামনে চলে এলে ওড়না ঝুলিয়ে কিছুক্ষণের জন্য চেহারা আবৃত করা যবে।
বলাবাহুল্য, এ দুটি কাজ পুরুষের জন্যও নিষিদ্ধ। কিন্তু পুরুষদের জন্য যেহেতু সেলাইকৃত যে কোনো পোশাক নিষিদ্ধ, মাথা ঢাকা নিষিদ্ধ তাই এগুলো উল্লেখ করার প্রয়োজন পড়ে না।
তবে ইহরাম অবস্থায় নারীরা নেকাব বা হাতমোজা পরবেন না। ইহরাম অবস্থায় নারীদের মুখমণ্ডল ও হাতের কব্জি খোলা রাখতে হয়।
ইহরাম অবস্থায় নারীদের বোরকা বা পোশাকের রঙ সাদা হওয়া জরুরি নয়। স্বাভাবিক সময়ের মতো কালো বা অন্য যে কোনো রঙের বোরকা বা পোশাক তারা পরিধান করতে পারেন।
অন্যান্য সময়ের মতই ইহরামের সময় নারীদের পোশাক নির্বাচনে পর্দা রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়া উচিত। এমন পোশাক পরিধান করা উচিত যা দিয়ে সতর ভালোভাবে আবৃত হয়, শারীরিক সৌন্দর্য ও আবেদনময়তা ঢেকে থাকে। শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে এমন আঁট-সাঁট পোশাক বা বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করে এমন উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরিধান না করা উচিত।
ইহরাম বাঁধার আগে পুরুষদের মতো নারীরাও নখ কাটবেন, অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করবেন এবং গোসল করে নেবেন। ইহরাম বাঁধার আগে মাসিক চলছে এমন নারীদেরও গোসল করে নেওয়া মুস্তাহাব। গোসল করা সম্ভব না হলে অজু করবেন। তারপর ওপরে বর্ণিত নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে পোশাক পরিধান করবেন। হজ বা ওমরাহর নিয়ত করবেন এবং তালবিয়াহ পাঠ করবেন।
হজ-ওমরাহর নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ করলেই নারীরা মুহরিম বলে গণ্য হবেন। এরপর ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
ইহরাম অবস্থায় নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ আটটি কাজ
১. মাথার চুল, গোঁফ, দাড়ি, শরীরের অন্যান্য জায়গার লোম মুণ্ডন করা, ছোট করা কিংবা উঠিয়ে ফেলা।
২. ইহরামের অবস্থায় নখ কাটা বা নখ উঠিয়ে ফেলা। তবে কোনো নখ ভেঙ্গে গেলে কষ্টদায়ক অংশটুকু কেটে ফেলে দিলে কোনো অসুবিধা নেই।
৩. ইহরাম অবস্থায় ইহরামের কাপড়ে, শরীরে অথবা শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে এমন কিছুতে সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৪. বিয়ে করা, বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া বা অভিভাবক বা উকিল হয়ে কাউকে বিয়ে দেওয়া।
৫. যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা কিংবা জড়িয়ে ধরা। যৌন আবেদন সৃষ্টি করে এমন কথাবার্তা বলা বা রসিকতা করা।
৬. যৌন মিলন করা।
৭. নিজে শিকার করা বা কাউকে শিকার করতে সহযোগিতা করা।
৮. ক্ষতিকর নয় এমন কীট-পতঙ্গ, পশু-পাখি মারা।
ইহরাম অবস্থায় শুধু পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ যেসব কাজ
১. মাথা ঢাকা। পুরুষের জন্য ইহরাম অবস্থায় এমন কিছু দিয়ে মাথা ঢাকা নিষিদ্ধ যা মাথার সাথে লেগে থাকে যেমন পাগড়ি, বিভিন্ন প্রকারের টুপি ও রুমাল ইত্যাদি। তবে এমন কিছু দিয়ে মাথা ঢাকা যায়, যা মাথার সাথে লেগে থাকে না যেমন, ছাতা, গাড়ির ছাদ, তাঁবু ইত্যাদি।
২. সেলাই করা কাপড় পরা। পুরুষদের জন্য ইহরাম অবস্থায় সেলাই করা কাপড় পরা নিষিদ্ধ। সেলাইকৃত কাপড়ের অর্থ হলো, এমন কাপড় যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের অবয়ব অনুযায়ী তৈরি করা হয় যেমন জুব্বা, পাঞ্জাবি, পাজামা, প্যান্ট, গেঞ্জি, আণ্ডারওয়্যার, মোজা, হাত বা পায়ের মোজা।
৩. পায়ের পাতার ওপরের অংশ ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
ইহরাম অবস্থায় নারীর জন্য নিষিদ্ধ দুটি কাজ
ইহরাম অবস্থায় নারীর জন্য সেলাই করা পোশাক, মাথা ঢাকা ইত্যাদি বৈধ হলেও দুটি কাজ নিষিদ্ধ:
১. হাত মোজা পরা।
২. নেকাব পরিধান করা। তবে পরপুরুষ সামনে চলে এলে ওড়না ঝুলিয়ে কিছুক্ষণের জন্য চেহারা আবৃত করা যবে।
বলাবাহুল্য, এ দুটি কাজ পুরুষের জন্যও নিষিদ্ধ। কিন্তু পুরুষদের জন্য যেহেতু সেলাইকৃত যে কোনো পোশাক নিষিদ্ধ, মাথা ঢাকা নিষিদ্ধ তাই এগুলো উল্লেখ করার প্রয়োজন পড়ে না।