সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক স্বর্ণবাজার বড় ধরনের বিক্রির চাপে থাকলেও বিশ্লেষকরা দীর্ঘমেয়াদে এর দাম নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভিয়েতনামনেট গ্লোবাল।
এমনকি স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ১০,০০০ ডলারে পৌঁছানোর মতো সাহসী পূর্বাভাসও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিবৈঠককে ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে স্বর্ণের দামে পতন দেখা গেছে।
৫ ডিসেম্বর আউন্সপ্রতি ৪,২৬০ ডলারের রেকর্ড উচ্চতা থেকে দাম কমে ৪,১৯৫ ডলারে নেমে এসেছে।
বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেডারেল রিজার্ভ কঠোর অবস্থান বজায় রাখতে পারে, যা ডলার ও বন্ডের ফলনকে শক্তিশালী করে স্বর্ণের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
তবে এই স্বল্পমেয়াদী পতনকে বাজারের একটি ‘প্রয়োজনীয় সংশোধন’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণের মৌলিক ভিত্তি অত্যন্ত শক্তিশালী। আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা সংস্থা হেরাউসের ‘আউটলুক ২০২৬’ অনুসারে, বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ ক্রয়, বাজেট ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ এবং বিনিয়োগ চাহিদা বাড়ার কারণে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৫,০০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
ব্ল্যাকরকের সাবেক পোর্টফোলিও ম্যানেজার এডওয়ার্ড ডাউড আরও এক ধাপ এগিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক ঋণ সংকট, চীনের আগ্রাসী স্বর্ণ সঞ্চয় এবং ব্যাসেল III নীতিমালার আওতায় স্বর্ণকে ‘টিয়ার-১ সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় এর দাম আউন্সপ্রতি ১০,০০০ ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তার মতে, ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দা ফেডারেল রিজার্ভকে সুদ কমাতে বাধ্য করবে, যা স্বর্ণের দামের জন্য বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।
সুতরাং, বর্তমান বাজার সংশোধন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে, কারণ দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই প্রবল।