যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ৭৫ হাজার জনেরই নেই কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ এএম
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দমন অভিযানে ৯ মাসে গ্রেপ্তার হওয়া অনথিভুক্ত অভিবাসীদের এক তৃতীয়াংশেরই কোন অপরাধের তথ্য মেলেনি। বাকিদেরও অপরাধ ধরণ সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য মেলেনি।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলির ডিপোর্টেশন ডেটা প্রজেক্ট এর তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ হাজারের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের রেকর্ডই নেই। এছাড়া অপরাধী হিসেবে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের অনেকেরই অপরাধের তথ্য স্পষ্ট নয়। গুরুতর অপরাধ আর ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মতো লঘু অপরাধ আলাদা করে দেখানো হয়নি।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলির ডিপোর্টেশন ডেটা প্রজেক্ট একটি মামলার মাধ্যমে এ তথ্য সংগ্রহ করে আইস এর কাছ থেকে।
এনবিসি নিউজের প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যমতে, প্রায় ২৩ হাজার অনথিভুক্ত অভিবাসীকে স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ৬৫ হাজার আইস ডিটেনশন সেন্টারে আটক আছেন।
মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিশ্লেষক এরিয়েল রুইজ সোটো বলেন, “এই তথ্য পরিস্কারভাবে দেখাচ্ছে—প্রশাসন যা বলে আসছে ‘সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অপরাধী’দের ধরার কথা, বাস্তবে তা ঘটছে না।”
রুইজ সোটো বলেন, “বর্ডার প্যাট্রোল কী পরিমাণ অভিযান চালাচ্ছে, কতজনকে গ্রেপ্তার করছে আমরা কিছুই জানি না। এটা পুরোপুরি এক ‘ব্ল্যাক বক্স’।”
আইস ফিল্ড অফিসগুলোকে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়াতে তীব্র চাপের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। গত মে মাসে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ হাজার গ্রেপ্তার না হলে কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হবে। কিন্তু নতুন তথ্য দেখাচ্ছে, জানুয়ারি ২০ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া প্রায় ৯০ শতাংশই পুরুষ। এর মধ্যে সর্বাধিক মেক্সিকান নাগরিক ৮৫ হাজার। এরপর গুয়াতেমালা ৩১ হাজার, হন্ডুরাস ২৪ হাজার। গ্রেপ্তারদের ৬০ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।
হিসপানিক কনস্ট্রাকশন কাউন্সিলের প্রধান জর্জ ক্যারিয়ো বলেন, “এখন শ্রমবাজারে আমরা এর প্রকৃত প্রভাব অনুভব করছি।” তাঁর মতে, প্রশাসনের ‘সীমান্ত নিরাপত্তা’ উদ্যোগের প্রশংসা থাকলেও, অতিরিক্ত কঠোর অভিযান ব্যবসায়িক খাতে শ্রম সংকট তৈরি করছে।”