মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ নির্মাণে অনুদান ৫ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় প্রাক্তন বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ নির্মাণে কোটি কোটি রুপি অনুদান জমা পড়েছে। জমা পড়েছে বহু সোনাও। বিশেষ যন্ত্র এনে দু’দিন ধরে চলছে রুপি গোনার কাজ। গণনা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
মঙ্গলবার শেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নগদ টাকার অঙ্ক এর মধ্যেই চার কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে। অনেকে সোনার অলংকারও দান করেছেন। অনলাইনেও আসছে প্রচুর অর্থ। ফলে সব মিলিয়ে অনুদানের অঙ্ক পাঁচ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছে মসজিদের অছি পরিষদ।
গত শনিবার বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানস্থলে অনুদান সংগ্রহের জন্য ১১টি স্টিলের বাক্স রাখা হয়েছিল। হাজারো মানুষ সেদিন মসজিদ নির্মাণের জন্য মুক্তহস্তে দান করেন। সেই থেকে অনুদান এসেই চলেছে।
হুমায়ুনের দাবি, সকলে মুক্তহস্তে দান করছেন। পরিস্থিতি এমনই যে, গোনার জন্য যন্ত্র আনতে হয়েছে। দানবাক্সে ৫০০ রুপির নোট থেকে শুরু করে খুচরো পর্যন্ত সবই পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনও সব টাকা গোনা শেষ হয়নি। কয়েকটি দানবাক্সের গণনা এখনও বাকি। মঙ্গলবারও সেই কাজ চলছে।
টাকা-গহনার পাশাপাশি অনেকে মসজিদ নির্মাণের জন্য ইট, বালি, পাথরও দান করছেন। হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এই বাবরি মসজিদ তৈরি করতে তিন বছর সময় লাগবে।’ এ জন্য অর্থের অভাব হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দূরদূরান্তের হাজারো ভক্ত এই বাবরি মসজিদের জন্য উদার হস্তে দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একজন ভক্ত একাই ৮০ কোটি রুপি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।’
মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা ও রেজিনগরের সংযোগস্থলে জাতীয় সড়কের পাশে। এর নির্মাণকাজ বন্ধ করতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা হলেও আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করেননি। আইনি বাধা কেটে যাওয়ার পরই শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
জানা গেছে, মূল মসজিদটি তিন কাঠা জমির ওপর নির্মিত হবে। এ ছাড়া মসজিদ চত্বরের ২৫ কাঠা জমিতে একটি হাসপাতাল ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তৈরি হবে পার্ক।