ইংল্যান্ডে এমপক্সের নতুন ধরন শনাক্ত এশিয়া ফেরত যাত্রীর শরীরে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৮ এএম
এশিয়া ভ্রমণ শেষে ইংল্যান্ডে ফেরা এক ব্যক্তির দেহে এমপক্সের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি ভাইরাসের মারাত্মক ও সাধারণ দুটি রূপের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। ভাইরাসের এই পরিবর্তন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও সবাইকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা (ইউকেএইচএসএ) জানিয়েছে, এই নতুন ধরনটি ‘রিকম্বিন্যান্ট’ বা মিশ্র প্রকৃতির। এটি এমপক্সের তীব্র সংক্রামক ‘ক্লেড ১’ এবং কম তীব্র ‘ক্লেড ২’—উভয় ধরনের বৈশিষ্ট্য বহন করছে। মূলত জিনোম সিকোয়েন্সিং বা জিনের গঠন বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ইউকেএইচএসএ-এর কর্মকর্তা ডা. ক্যাটি সিনকা বলেছেন, ভাইরাসের বিবর্তন বা রূপ বদলানো খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। এই নতুন ধরনটি কতটা শক্তিশালী বা কীভাবে ছড়ায়, তা নিয়ে আরও গবেষণা চলছে। তবে সংক্রমণ এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এমপক্স মূলত ঘনিষ্ঠ শারীরিক স্পর্শ, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত তোয়ালে বা বিছানা এবং হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত হওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা ও শরীরে ফুসকুড়ির মতো লক্ষণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৯৪টি দেশে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২০১ জন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ট্রুডি ল্যাং বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই নতুন ধরনটি আগেরগুলোর চেয়ে বেশি বিপজ্জনক কি না, তা দ্রুত যাচাই করা প্রয়োজন। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।