Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ফ্যাক্ট-চেকার ও কনটেন্ট মডারেটরদের ভিসা দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ এএম

ফ্যাক্ট-চেকার ও কনটেন্ট মডারেটরদের ভিসা দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে বিভিন্ন দেশে আলোচনা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে ঘিরে। ট্রাম্প প্রশাসন এমন সব পেশাজীবীদের ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা অনলাইনে তথ্য যাচাই, কনটেন্ট নজরদারি, কমপ্লায়েন্স বা ডিজিটাল নিরাপত্তা–সংক্রান্ত কাজে যুক্ত।

রয়টার্সের হাতে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি নির্দেশনায় দেখা যায়—কনস্যুলার কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, যারা ‘মতপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণ বা তার প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত’, তাদের ভিসা আবেদন বাতিল করতে।

এই নির্দেশনা পর্যটক, সাংবাদিক এবং বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসার আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে আরও কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। ভারত, চীনসহ টেক খাতের বহু পেশাজীবী সাধারণত এইচ-১বি ভিসা নেন।

ভিসা আবেদনকারীদের চাকরির ইতিহাস, লিংকডইন প্রোফাইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড-সব কিছুই যাচাই করা হবে। কারও পেশাগত দায়িত্বে ফ্যাক্ট-চেকিং, কনটেন্ট রিভিউ বা ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি–সংক্রান্ত কাজ পাওয়া গেলে তাকে অনুপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

এই নীতির আওতায় এমন পেশাজীবীরাও পড়তে পারেন, যারা শিশু সুরক্ষা বা অনলাইনে অপরাধমূলক কনটেন্ট দমন–সংক্রান্ত কাজে যুক্ত। যুক্তরাজ্যের অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট বাস্তবায়নে যুক্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও একই আচরণ প্রযোজ্য হতে পারে।

প্রশাসনের দাবি, এই নীতি আসলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার পদক্ষেপ। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল দাঙ্গার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বিবেচনায় রেখে নীতিটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি খাতের কিছু বিশেষজ্ঞ নীতিটির সমালোচনা করেছেন। পার্টনারহিরোর ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালিস গগুয়েন হান্সবার্গার মন্তব্য করেন- এই পেশার কাজকে ‘সেন্সরশিপ’ হিসেবে দেখা ভুল; কারণ শিশু সুরক্ষা, প্রতারণা প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্ট ঠেকানো- এসবই মানবিক ও জরুরি দায়িত্বের অংশ।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার