আনডকুমেন্টেড ইমিগ্র্যান্টদের বিমানযাত্রা পরিহারের পরামর্শ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ এএম
রিয়েল আইডি না থাকলে একজন বিমান যাত্রীকে ৪৫ ডলার ফি দিতে হবে। আর এই ফি নেওয়া হবে যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি রোববার থেকে এটি কার্যকর হবে।
যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই (আনডকুমেন্টেড) তারা বিকল্প হিসাবে নিজ দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এই বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞ অ্যাটর্নিরা। আনডকুমেন্টেড ইমিগ্র্যান্টদের এই মুহূর্তে বিমানযাত্রা পরিহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ) ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র না দেখিয়ে বিমান ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক সব যাত্রীকে ৪৫ ডলার ফি দিয়ে ‘টিএসএ কনফার্মেশন আইডি’ সংগ্রহ করতে হবে।
টিএসএ যেসব পরিচয়পত্র বা আইডি গ্রহণ করবে, সেগুলো হচ্ছে- রিয়েল আইডি সম্বলিত ড্রাইভিং লাইসেন্স বা স্টেট আইডি, এনহ্যান্সড ড্রাইভার্স লাইসেন্স (ইডিএল) বা এনহ্যান্সড আইডি (ইআইডি), যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট কার্ড, গ্রিনকার্ড, ওয়ার্ক পারমিট, ট্রাস্টেড ট্রাভেলার কার্ড, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের আইডি, বর্ডার ক্রসিং কার্ড, স্বীকৃত ট্রাইবাল নেশনের ইস্যুকৃত গ্রহণযোগ্য ফটো আইডি, বিদেশি পাসপোর্ট, কানাডিয়ান প্রাদেশিক ড্রাইভিং লাইসেন্স, যুক্তরাষ্ট্রের মেরিনার ক্রেডেনশিয়াল, ভেটেরান হেলথ আইডেন্টিফিকেশন কার্ড। অস্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণযোগ্য নয়।
আনডকুমেন্টেড অনেকেরই নিজ দেশের বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে। টিএসএ’র ঘোষণা অনুযায়ী বৈধ পাসপোর্ট আইডি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু এখানে বিস্তর ফারাক রয়েছে। যাদের ওয়ার্ক পারমিট আছে, তাদেরও বিমানযাত্রায় সতর্ক থাকা উচিত।
ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, নিজ দেশের পাসপোর্ট বৈধ হলেও সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ ভিসা থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে বর্তমান ব্যবস্থায় তা যাত্রীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিমানবন্দর থেকে এসব তথ্য ইমিগ্রেশনে চলে যেতে পারে। পরে যে কোনো বিপদ হতে পারে। অন্যদিকে যাদের ওয়ার্ক পারিমিট আছে, কিন্তু কাগজপত্রে ঘাটতি রয়েছে তাদের এই মুহূর্তে বিমানযাত্রা পরিহার করা উচিত - পরামর্শ দেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।