Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ব্ল্যাক টি থেকে রুপার ঘোড়া, পুতিনকে উপহার দিয়ে চমকে দিলেন মোদি

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১২ এএম

ব্ল্যাক টি থেকে রুপার ঘোড়া, পুতিনকে উপহার দিয়ে চমকে দিলেন মোদি

দুই দিনের (৪–৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ভারত ছাড়ার আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বেশ কয়েকটি বিশেষ উপহার দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসব উপহারের মধ্যে ছিল সুগন্ধি আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, নকশা করা রুপার চায়ের সেট এবং রুশ ভাষায় অনূদিত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার একটি কপি।

এনডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি উপহারের পেছনেই রয়েছে আলাদা তাৎপর্য ও সাংস্কৃতিক বার্তা।

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা—মহাভারতের অংশ হিসেবে এর ভেতরে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কর্তব্য, আত্মা ও মোক্ষলাভ নিয়ে অর্জুনকে দেওয়া উপদেশ। নৈতিক জীবন, মনোসংযম এবং অন্তর্নিহিত শান্তির দর্শন বহন করে এই গ্রন্থটি।

আসামের ব্ল্যাক টি—উর্বর ব্রহ্মপুত্রের সমভূমিতে উৎপাদিত এই চা সুগন্ধ, মাল্টি ফ্লেভার, উজ্জ্বল রং এবং ঐতিহ্যবাহী ‘আসামিকা’ প্রজাতির জন্য পরিচিত। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ পাওয়া এই চা শুধু ঐতিহাসিক নয়, স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

মুর্শিদাবাদের রুপার খোদাই করা টি-সেট—জটিল নকশায় তৈরি এই চায়ের সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ কারুশিল্পের নিদর্শন। ভারত ও রাশিয়া—দুই দেশেই চা সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা দীর্ঘ বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত।

মহারাষ্ট্রের শিল্পীদের বানানো রুপার ঘোড়া—ভারতীয় ও রুশ সংস্কৃতিতে ঘোড়া মর্যাদা ও বীরত্বের পরিচায়ক। ঘোড়াটির গতিশীল ভঙ্গি ভারত–রাশিয়া সহযোগিতার অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে ধরা হচ্ছে।

আগ্রার মার্বেল দাবার সেট—হাতে বানানো মার্বেল বোর্ড আগ্রার ঐতিহ্যবাহী পাথর কারুকাজকে তুলে ধরে।

কাশ্মীরি জাফরান—স্থানীয়ভাবে ‘কঙ’ নামেও পরিচিত। রং, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য এই জাফরান আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত। এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও রান্নায় বিশেষ স্থান দখল করে।

সাম্প্রতিক সফরে মোদি–পুতিন বৈঠকে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন, পুতিন বলেন, ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছুঁয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তা ১০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈঠককে তিনি ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ’ বলেও উল্লেখ করেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার