যুক্তরাজ্যগামী অভিবাসীদের সমুদ্র থেকেই আটক করবে ফ্রান্স
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
যুক্তরাজ্যগামী ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের সমুদ্র থেকেই আটক করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ফ্রান্স।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের চাপের পরিপ্রেক্ষিতে প্যারিসের এ নীতিগত পরিবর্তনকে বড় ধরনের কৌশলগত রদবদল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ছোট নৌকায় চড়ে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ ইংল্যান্ডে পৌঁছেছে। বিপুল এই অভিবাসীর চাপ যুক্তরাজ্যের লেবার সরকারকে ডানপন্থিদের তীব্র সমালোচনার মুখে ফেলেছে।
এরই মধ্যে ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনী সমুদ্রতীরে টহল জোরদার করেছে ও সৈকতে অভিবাসীদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এতদিন পর্যন্ত যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় ফ্রান্স সমুদ্রে এসব নৌকা বাধা দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
এবার সেই অবস্থান বদলাতে যাচ্ছে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগর সংশ্লিষ্ট ফরাসি দপ্তর (প্রিমার)। তারা জানিয়েছে, খুব শিগগিরই ছোট নৌকাগুলোর বিরুদ্ধে সমুদ্রে ‘নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষেপ অভিযান’ শুরু হবে। ফরাসি দৈনিক ল্য মঁদেকে দেওয়া তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রিমার।
প্রিমারের এক মুখপাত্র ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি এড়াতে নৌকায় ওঠার আগেই এসব অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবপাচারকারীরা নতুন কৌশল হিসেবে ফরাসি সৈকত টহল এড়াতে সমুদ্রের পানি থেকেই অভিবাসীদের তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রতি ব্যক্তির কাছ থেকে পাচারকারীরা কয়েক হাজার ইউরো করে নিচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, জাল ব্যবহার করে নৌকা থামানো হতে পারে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তবে এ বিষয়ে প্রিমার জানিয়েছে, ছোট নৌকা থামাতে জালের ব্যবহার আপাতত বিবেচনায় নেই।
এএফপির সংকলিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭ জন অভিবাসী চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আর ব্রিটিশ সরকারের তথ্য বলছে, ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষ ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা ২০২৪ সালের মোট পাড়ি দেওয়া মানুষের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে, যদিও ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার মানুষ সফলভাবে চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিল।
সূত্র: এএফপি
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের চাপের পরিপ্রেক্ষিতে প্যারিসের এ নীতিগত পরিবর্তনকে বড় ধরনের কৌশলগত রদবদল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ছোট নৌকায় চড়ে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ ইংল্যান্ডে পৌঁছেছে। বিপুল এই অভিবাসীর চাপ যুক্তরাজ্যের লেবার সরকারকে ডানপন্থিদের তীব্র সমালোচনার মুখে ফেলেছে।
এরই মধ্যে ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনী সমুদ্রতীরে টহল জোরদার করেছে ও সৈকতে অভিবাসীদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এতদিন পর্যন্ত যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় ফ্রান্স সমুদ্রে এসব নৌকা বাধা দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
এবার সেই অবস্থান বদলাতে যাচ্ছে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগর সংশ্লিষ্ট ফরাসি দপ্তর (প্রিমার)। তারা জানিয়েছে, খুব শিগগিরই ছোট নৌকাগুলোর বিরুদ্ধে সমুদ্রে ‘নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষেপ অভিযান’ শুরু হবে। ফরাসি দৈনিক ল্য মঁদেকে দেওয়া তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রিমার।
প্রিমারের এক মুখপাত্র ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি এড়াতে নৌকায় ওঠার আগেই এসব অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবপাচারকারীরা নতুন কৌশল হিসেবে ফরাসি সৈকত টহল এড়াতে সমুদ্রের পানি থেকেই অভিবাসীদের তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রতি ব্যক্তির কাছ থেকে পাচারকারীরা কয়েক হাজার ইউরো করে নিচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, জাল ব্যবহার করে নৌকা থামানো হতে পারে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তবে এ বিষয়ে প্রিমার জানিয়েছে, ছোট নৌকা থামাতে জালের ব্যবহার আপাতত বিবেচনায় নেই।
এএফপির সংকলিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭ জন অভিবাসী চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আর ব্রিটিশ সরকারের তথ্য বলছে, ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষ ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা ২০২৪ সালের মোট পাড়ি দেওয়া মানুষের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে, যদিও ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার মানুষ সফলভাবে চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিল।
সূত্র: এএফপি