নাগরিকত্ব নিয়মে বড় পরিবর্তন, বিদেশিদের জন্য কানাডার নতুন সুখবর
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৩ এএম
কানাডা তার নাগরিকত্ব আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলেছে। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের জন্য আনা বিল সি-৩ সম্প্রতি রাজকীয় অনুমোদন পেয়েছে যা বাস্তবায়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
তবে আইনটি এখনো কার্যকর হয়নি। ফেডারেল সরকারকে এখন কার্যকর হওয়ার তারিখ ঠিক করতে হবে। তবুও রাজকীয় অনুমোদনের ফলে এটি স্পষ্ট যে অটোয়া এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চায়।
বিলটি বহুদিন ধরে কানাডায় চলে আসা ‘দ্বিতীয় প্রজন্মের কাট-অফ’ সমস্যার সমাধান করতে চলেছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশে জন্ম নেওয়া কোনো কানাডিয়ান নাগরিক যদি তার সন্তানকেও বিদেশে জন্ম দেন, তবে সেই সন্তানের স্বয়ংক্রিয়ভাবে কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার থাকে না।
এই নিয়মের কারণে তৈরি হয়েছে তথাকথিত ‘হারিয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের’ একটি দল—যাদের ধারণা ছিল তারা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু পুরনো আইন তাদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
দেশটির অভিবাসন সংস্থা ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা (আইআরসিসি) জানায় যে বংশগত নাগরিকত্বের ‘প্রথম প্রজন্ম সীমা’ ২০০৯ সালে চালু করা হয়েছিল। যার অর্থ, যদি কোনো শিশু কানাডার বাইরে জন্ম নেয় বা দত্তক নেওয়া হয়, এবং তার কানাডিয়ান বাবা-মাও যদি বিদেশে জন্ম নেওয়া বা দত্তক নেওয়া হন, তাহলে সেই শিশু বংশগতভাবে কানাডিয়ান নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে না।
২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর, অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্ট অফ জাস্টিস ঘোষণা করে যে, এই সীমা সংক্রান্ত নাগরিকত্ব আইনের মূল অংশগুলো অসাংবিধানিক।
কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন ল’য়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিআইএলএ) বিলসি-৩ –কে সংসদের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে জোরালো সমর্থন জানিয়েছে। তারা বলছে, বিল সি-৩ অবশেষে এই অসাংবিধানিক বাধা দূর করতে চলেছে।
বিল সি-৩ পুরনো নিয়মে নাগরিকত্ব হারানো ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধার করবে। এছাড়া এর মাধ্যমে বিদেশে জন্ম নেওয়া কানাডিয়ান পিতামাতা, যারা কানাডার সাথে সংযুক্ত, তাদের সন্তানদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে। আইনে উল্লেখযোগ্য সংযোগ হিসেবে বলা হয়েছে, জন্ম বা দত্তকের আগে পিতা-মাতাকে ১,০৯৫ দিন কানাডায় থাকতে হবে।
আইনটি এখন মন্ত্রিসভার আদেশের মাধ্যমে কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আদালত ইতোমধ্যেই আইনটি কার্যকর করার সময়সীমা ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ফলে আইআরসিসি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার জন্য অতিরিক্ত সময় পেয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়ার আশা করছেন অভিবাসন আইনজীবীরা।