সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে পাত্রী, জরুরি বিভাগে হলো বিয়ে!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ এএম
বিয়ে করতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনা। বিয়ের মণ্ডপের পরিবর্তে হাসপাতালে পৌঁছালেন কনে। তবে বিয়ে বাতিল না করে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে হাসপাতালেই কনের সিঁথিতে সিঁদুর দিলেন পাত্র। আর এতে সাক্ষী হলেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
আবেগঘন ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালার কোচি শহরে। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরালও হয়েছে ভিডিওটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলাপ্পুঝার স্কুলশিক্ষিকা অবনীর সঙ্গে শুক্রবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল পেশায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক শ্যারন ভিএমের।
রাত ৩টার দিকে অবনী তার কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে বিয়ের সাজসজ্জার জন্য কুমারকোমে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝরাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে গাড়িটির। এতে আহত হন অবনী।
দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড় জমে যায়।
অবনী ও বাকিদের উদ্ধার করে কোট্টায়াম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। মেরুদণ্ডে গুরুতর চোটের কারণে পরবর্তীতে অবনীকে ৭০ কিলোমিটার দূরে এর্নাকুলামের লেকশোর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অবনীর দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান শ্যারন ও তার পরিবার। দীর্ঘ আলোচনার পর দুই পক্ষই বিয়ে বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক হয়, হাসপাতালেই বিয়ে করবেন অবনী ও শ্যারন।
সেই মতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতিও চেয়ে নেন তারা।
এর পরেই চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালের জরুরি বিভাগেই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পূর্ব নির্ধারিত সময়েই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা অবনীর গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেন শ্যারন। সেই ভিডিওই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিয়োটি দেখে নেটিজেনরা অনেকেই নবদম্পতির মঙ্গল কামনা করেছেন। দুই পরিবারকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘সত্যিকারের ভালোবাসা একেই বলে। মানবতা এখনো বেঁচে আছে।’