Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

নিউইয়র্কের জন্য ভালো যে কোনো বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করবো: মামদানি

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৯ এএম

নিউইয়র্কের জন্য ভালো যে কোনো বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করবো: মামদানি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র (নির্বাচিত) জোহরান মামদানি বলেছেন, যদিও অনেক বিষয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অমত রয়েছে, তবুও নিউইয়র্কের জন্য ভালো এমন যে কোনো বিষয়ে তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করবেন।

মামদানি স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এটিই হবে দুই নেতার প্রথম বৈঠক।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মামদানি সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার অনেক মতবিরোধ আছে ও আমি মনে করি, নিউইয়র্ককে সাশ্রয়ী করার জন্য আমাদের নিরলসভাবে চেষ্টা চালানো উচিত। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যে কোনো এজেন্ডায় আমি তার সঙ্গে কাজ করবো, যা নিউইয়র্কের জন্য লাভজনক। আর যদি কোনো এজেন্ডা নিউইয়র্কের জন্য ক্ষতিকর হয়, তহালে আমি প্রথমেই তা সবার সামনে প্রকাশ করবো।
মামদানি বলেন, তার দল হোয়াইট হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করে বৈঠক আয়োজন করেছে, কারণ আমি যে কারো সঙ্গে কাজ করবো, যাতে এই শহরের আট লাখ পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন সাশ্রয়ী করা যায়।

নবনির্বাচিত মেয়র আরও বলেন, আসন্ন মেয়রের জন্য হোয়াইট হাউজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা প্রথাগত, যেহেতু উভয় পক্ষের একে অপরের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে।

মামদানি স্বীকার করেছেন যে নিউইয়র্কের জন্য, তার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো ‘দুজন ভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে, যারা একটি কারণেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ মানুষ এমন নেতা চাইছিলেন, যিনি এই শহরে কর্মজীবী মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় সাশ্রয়ী করার জন্য কাজ করবেন।

এদিকে, বুধবার (১৭ নভেম্বর) রাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, নিউইয়র্ক সিটির ‘কমিউনিস্ট’ মেয়র জোহরান ‘কোয়ামি’ মামদানি সাক্ষাতের জন্য অনুরোধ করেছেন। আমরা রাজি হয়েছি। এই বৈঠক শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত হবে।

মামদানির রাজনৈতিক আদর্শ ও নীতির কট্টোর সমালোচক ট্রাম্প। ৪ নভেম্বরের মেয়র নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সতর্ক করেছিলেন যে মামদানির জয় নিউইয়র্ক সিটির জন্য ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়’ হবে।

এদিকে, মামদানি তার বিজয়ী ভাষণে ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, যদি কেউ দেখাতে পারে যে কীভাবে ট্রাম্পকে পরাজিত করা যায়, তবে তা হলো সেই শহর (নিউইয়র্ক), যেখান থেকে তার (ট্রাম্পের) নিজের উত্থান শুরু হয়েছিল। যদি কোনোভাবে একনায়ককে ভয় দেখানো যায়, তা হলো সেই পরিস্থিতি ধ্বংস করে যা তাকে ক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করেছে।

তিনি আরও যোগ করেন, এটি কেবল ট্রাম্পকে থামানোর উপায় নয়, এটি পরবর্তী একনায়ককে থামানোরও পথ। সুতরাং, ডোনাল্ড ট্রাম্প, যেহেতু আমি জানি আপনি দেখছেন, আমি আপনাকে চারটি শব্দ বলছি, ভলিউম বাড়ান।

ট্রাম্প মামদানির বিজয় ভাষণকে মোটেই ভালোভাবে নিতে পারেননি। তিনি বলেন, মামদানি খারাপভাবে শুরু করেছেন ও যদি তিনি ওয়াশিংটনের প্রতি সম্মান না দেখান, তাহলে সফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল শহর হলো নিউইয়র্ক সিটি। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দক্ষিণ এশীয় ও মুসলিম ব্যক্তি হিসেবে মামদানি এই শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি নির্বাচনের কয়েক মাস ধরে প্রধান প্রার্থী ছিলেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া ও প্রাক্তন নিউ ইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোর মতো রাজনৈতিক মহারথীদের পরাজিত করেছেন। কুয়োমো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন ও নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেয়েছিলেন।

সূত্র: বিবিসি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার